তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মৈত্রী রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এ বন্ধন আরও দৃঢ় হয়েছে।’
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর দপ্তরে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করেছেন। এ সফরে অনেকগুলো অর্জন আছে, যেমন: কুশিয়ারা নদীর পানি আমাদের পক্ষে বণ্টন; ভারতের স্থলভাগের ওপর দিয়ে তৃতীয় দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি সুবিধা, যার জন্য আমরা বহুদিন ধরে চেষ্টা করছিলাম। আলাপ-আলোচনার মধ্যেই ছিলাম। এ সফরে তার সুরাহা হয়েছে। এটি একটি বড় অর্জন।’
এই সফর সফল করার ক্ষেত্রে ভারতের হাইকমিশনার দোরাইস্বামীর অনেক বড় ভূমিকা ছিল, উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দোরাইস্বামী অত্যন্ত কর্মদক্ষ হাইকমিশনার। তার কর্মকালে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী আরও মজবুত হয়েছে। আমি তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।’
সাক্ষাতের বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা করেছি। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকটি প্রধানমন্ত্রী অনুমোদনের পর আমরা আশা করছি এ বছরের মধ্যেই রিলিজ দেওয়া সম্ভব হবে।’
এর আগে ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করোনা মহামারির সময়েও ম্লান হয়নি, বরং তা আরও দৃঢ় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরটি ছিল অত্যন্ত ফলপ্রসূ। অনেকগুলো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সমঝোতা হয়েছে। দুই দেশের তথ্য ও সম্প্রচার ক্ষেত্রেও চুক্তি হয়েছে। এই সম্পর্ক দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হবে বলে আমার স্থির বিশ্বাস।’