যুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে কিয়েভের সাথে একটি অস্থায়ী চুক্তি করেছিলেন ইউক্রেনে নিযুক্ত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রধান দূত। ওই চুক্তিতে ইউক্রেনকে ন্যাটোর বাইরে থাকার ব্যাপারে রাশিয়ার দাবি মেনে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুতিন সেই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং তার সামরিক অভিযান চালিয়ে যেতে চাপ দিয়েছিলেন। পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি কোজাক পুতিনকে জানিয়েছিলেন, তার বিশ্বাস যে চুক্তিটি তিনি করেছিলেন তা রাশিয়াকে ইউক্রেনে বড় পরিসরের দখলদারিত্বের প্রয়োজনীয়তা দূর করেছে।, এই সূত্রগুলি অনুসারে। চুক্তিটি গ্রহণ করার জন্য পুতিনের কাছে অনুরোধ করেছিলেন কোজাক।
যুদ্ধের আগে পুতিন বারবার জোর দিয়েছিলেন যে, ন্যাটো পূর্ব ইউরোপ থেকে নতুন সদস্য গ্রহণ করে রাশিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি চলে আসছে এবং জোটটি এখন ইউক্রেনকেও তাদের দলে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুতিন প্রকাশ্যে বলেছিলেন, এটি রাশিয়ার অস্তিত্বের জন্য হুমকি।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার আলোচনাকে প্রথমে সমর্থন করেছিলেন পুতিন। কিন্তু কোজাকের চুক্তি খসড়া উপস্থাপন করলে পুতিন সাফ জানিয়ে দেন, তার সহযোগী যথেষ্ঠ সুবিধা আদায় করেনি। এসময় পুতিন ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখলের চিন্তাভাবনা করেন। এর পরিণতিতে চুক্তিটি বাদ দেওয়া হয়।
রয়টার্সের অনুসন্ধানের বিষয়ে জানতে চাইলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘সাথে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই। এমন কোনো ঘটনা কখনো ঘটেনি। এটা একেবারেই ভুল তথ্য।’
এ ব্যাপারে কোজাকও কোনো মন্তব্য করেননি।