নাগোর্নো-কারাবাখের অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের তীব্র সংঘাত হয়েছে। দুইপক্ষই প্রচুর গোলাগুলি চালিয়েছে। উভয়পক্ষের প্রায় ১০০ সেনা নিহত হয়েছেন।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান বলেছেন, সোমবার রাতভর ওই যুদ্ধে তাদের ৪৯ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন।
বিবিসি জানায়, নিহত সেনাদের মধ্যে ৫০ জন আজারবাইজানের।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নতুন করে সংঘাতের ঘটনা দুইপক্ষই একে অপরের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছে। দুইপক্ষের দাবি, অন্যজন প্রথমে হামলা চালিয়েছে, পরে তারা জবাব দিয়েছে। এদিকে, আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের সীমান্ত সংঘর্ষ থামাতে সফল হওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মস্কোর স্থানীয় সময় সময় সকাল ৯টা থেকে একটি যুদ্ধবিরতি সম্মত হয়েছে উভয়পক্ষ।
আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সীমান্তে নতুন করে শুরু হওয়া লড়াইতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।ফরাসী প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি বিষয়টি নিরাপত্তা পরিষদে তুলবেন।
উল্লেখ্য, আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে বিরোধের কেন্দ্রে আছে বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল।আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমান্ত অনুযায়ী এটি আজারবাইজানের অংশ, তবে সেখানে থাকে মূলত জাতিগত আর্মেনিয়ানরা।তবে এই সাংস্কৃতিক বিভেদ কেবল রাজনীতিতে সীমাবদ্ধ নেই, এর পাশাপাশি ধর্মীয় বিভেদও দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করছে। আর্মেনিয়া মূলত খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, অন্যদিকে আজারবাইজান মূলত মুসলিম।
দুটি দেশই সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে বড় আকারে যুদ্ধ হয়েছে। সর্বশেষ ২০২০ সালেও দুই দেশ ছয় সপ্তাহ ধরে এক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল।