বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু কোনারপাড়া সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া চারটি মর্টার শেল এসে পড়েছে। এতে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন রোহিঙ্গা শিশুসহ ৬ জন।
তমব্রু রোহিঙ্গা ক্যাম্প কমিটির চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মিয়ানমার থেকে চারটি মর্টার শেল এসে পড়ে। এর মধ্যে তিনটি শূন্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ও আরেকটি বাংলাদেশের সীমানার ভেতর পড়েছে। এতে এক রোহিঙ্গা শিশুসহ ছয় জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর মধ্যে মোহাম্মদ ইকবাল নামে আহত রোহিঙ্গা যুবক মারা যান।
তিনি আরো জানান, আহতরা হলেন ১০ বছরের সাদিয়া জান্নাত, তার মা সাবেকুন নাহার, নবী হোসেন, ভুলু ও আনাছ। এর মধ্যে আনাছ বাংলাদেশি।
এই সীমান্তেই হেডম্যানপাড়ার ৩৫ নম্বর পিলারের ৩০০ মিটার মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে শুক্রবার দুপুরে মাইন বিস্ফোরণে আহত হন এক বাংলাদেশি যুবক। আহত অন্নথাইং তঞ্চঙ্গ্যার বাড়ি ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তমব্রু হেডম্যানপাড়ায়।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম জানান, শুক্রবার দুপুরে ওই বাংলাদেশি যুবক গরু চোরাচালানের উদ্দেশ্যে তমব্রু সীমান্ত এলাকায় ৩৫ নম্বর পিলারের কাছাকাছি কাঁটাতার পেরিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যান। সেখানে পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে তার বাম পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, প্রায় এক মাস ধরে সীমান্তে উত্তেজনা চলছে। ওপারে মিয়ানমার থেকে মর্টার শেলসহ নানা ভারী অস্ত্রের আওয়াজে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু ও বাইশপারী এলাকার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। গত ২৮ আগস্ট তমব্রু উত্তরপাড়ায় এসে পড়েছে একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল। সেদিনই সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান চক্কর দিতে দেখা যায়।
এর আগে, গত ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের দুটি যুদ্ধবিমান ও ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া দুটি গোলা ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পড়ে। সেগুলো অবিস্ফোরিত থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।