প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ব্রিটেনের বিরোধী দলের নেতা ও লেবার পার্টির প্রধান স্যার কেয়ার স্টারমার।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার এ সাক্ষাত অনুষ্ঠান হয়। প্রধানমন্ত্রী এখন প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া যোগ দিতে চারদিনের সফরে লন্ডনে রয়েছেন।
সাক্ষাতকালে ব্রিটেনের বিরোধী দলের নেতা ও লেবার পার্টির প্রধান স্যার কেয়ার স্টারমার বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য চমৎকার সম্পর্কে আবদ্ধ। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকদের মাধ্যমে এ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, শেখ হাসিনা রানির মৃত্যুতে তার গভীর শোক পুনর্ব্যক্ত করেন বৈঠকে। এসময় স্যার স্টারমার রানির স্মরণে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেওয়া বাণীর জন্য প্রধানমন্ত্রী লেবার পার্টি নেতাকে ধন্যবাদ জানান।
স্যার স্টারমার ২০১৬ সালে তার বাংলাদেশ সফর ও সেসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন। তিনি যুক্তরাজ্যজুড়ে লেবার পার্টি থেকে ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লোক প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দুই নেতা ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের ওপর আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষকে খাদ্য, জ্বালানি ও আর্থিক নিরাপত্তাহীনতা থেকে রক্ষা করতে সংঘাতের নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জনগণের ওপর ভিন্ন রকম প্রভাব ফেলছে কি না, তা পর্যালোচনার করা দরকার। উভয়পক্ষ চলমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটের কারণে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কে সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে মতবিনিময় করেন।
স্যার স্টারমার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের করোনা মহামারি মোকাবিলার প্রশংসা করেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য লেবার পার্টির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতির কারণে বাংলাদেশের ওপর ক্রমবর্ধমান বোঝা সম্পর্কে লেবার পার্টির নেতাকে অবহিত করেন।
নিজ দেশের সংযমের কথা তুলে ধরে বলেন, মিয়ানমার বাংলাদেশের সীমান্তের কাছাকাছি সশস্ত্র সংঘাতের সাম্প্রতিক বিস্তার করছে। বাংলাদেশ তার ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে সংঘাতের উপচেপড়ার প্রভাব ছড়িয়ে পড়া সত্ত্বেও, সর্বোচ্চ সংযম অনুশীলন করছে।
পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মেরিলেবোনের লর্ড স্বরাজ পাল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের প্রবীণ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের জন্য তার প্রশংসা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সূত্র: বাসস