রাশিয়া-বাংলাদেশ গ্যাস অনুসন্ধান ও শস্য চুক্তি সম্পর্কে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি যে বক্তব্য দিয়েছে, তা খণ্ডন করেছে ঢাকার রাশিয়ার দূতাবাস। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দূতাবাস এক বিবৃতিতে সংস্থাটির বক্তব্য খণ্ডন করে।
রাশিয়ার দূতাবাস বলেছে, বৈশ্বিক খাদ্য ও জ্বালানি সংকটে রাশিয়ার ত্রুটি সম্পর্কিত তথ্য প্রচার পশ্চিমাদের একটি সাধারণ অভ্যাস হয়ে উঠেছে। বর্তমানে পশ্চিমা মিডিয়া ও এনজিওগুলো মস্কো এবং অন্যান্য দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য রাশিয়ান বাণিজ্যিক চুক্তিগুলো বিকৃত করার চেষ্টা করছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর টিআইবি এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, ‘রাশিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে শস্য সরবরাহ এবং গ্যাস কূপ খনন সংক্রান্ত চুক্তিগুলো বেআইনি’। এ বিষয়ে রাশিয়ার দূতাবাসের মনোযোগ আকর্ষণ হয়েছে।
‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল’-কে প্রাথমিকভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদনের জন্য রাশিয়ায় একটি ‘বিদেশী এজেন্ট’ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।
সংস্থাটি তার তদন্তে অফিসিয়ালি কোনো তথ্যের জন্য রাশিয়ান দূতাবাস, গ্যাজপ্রম ইপি ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্টস বিভি ও জেএসসি প্রোডিন্টরগকে অনুরোধ করেনি।
টিআইবির বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার বাজার দরের চেয়ে বেশি দামে ৫ লাখ টন গম রাশিয়ার কাছ থেকে কেনার চুক্তি করেছে। গত ২৪ আগস্ট প্রতি টন ৪৩০ মার্কিন ডলার মূল্যে গম কেনার লক্ষ্যে চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি হওয়ার সময় কঠোরভাবে বাজার মূল্যের সঙ্গে সামাঞ্জস্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে নভোরোসিয়েস্ক বন্দরে মালবাহী কার্গো খালাস ও বীমার বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী এই দাম ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে এটাও বিবেচনা করা উচিত যে, জি-টু-জি ভিত্তিতে গম আমদানির খরচ ওপেন টেন্ডারিং পদ্ধতির চেয়ে কম।
উল্লেখ্য, খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে টিআইবির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলা হয়েছে, রাশিয়া থেকে বেশি দামে গম আনা হচ্ছে না, প্রতিযোগিতামূলক দামে কেনা হচ্ছে। অন্য দেশ থেকে গম আনলে প্রতি টন ৫০০ মার্কিন ডলার খরচ পড়ে।