মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আবারো বাড়ানো হয়েছে রেপো সুদহার। রেপো সুদহার আগের চেয়ে দশমিক ২৫ (পঁচিশ) শতাংশ বাড়িয়ে ৫.৭৫ শতাংশে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। এতে রেপো তথা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নেওয়া ধারের বিপরীতে ৫.৭৫ শতাংশ সুদ দিতে হবে। রেপো মাধ্যমে সাধারণত এক দিনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার করা বা জমা রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনিটারি পলিসি ডিপার্টমেন্ট থেকে রেপো সুদহার পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, মনিটারি পলিসি কমিটির ৫৬তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকের ওভারনাইট রেপো সুদহার বিদ্যমান বার্ষিক শতকরা ৫.৫০ ভাগ থেকে ২৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে শতকরা ৫.৭৫ ভাগে পুনঃনির্ধারণ করা হলো। উল্লেখ্য যে, রিভার্স রেপো সুদহার বিদ্যমান বার্ষিক শতকরা ৪.০০ ভাগে অপরিবর্তিত থাকবে।
এ নির্দেশনা আগামী ২ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে চলতি বছর ২৭ জুন মনিটারি পলিসি কমিটির (এমপিসি) ৫৫তম সভায় রেপো সুদহার আগের চেয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ৫.৫০ শতাংশে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল। তখনও রিভার্স রেপো সুদহার বিদ্যমান বার্ষিক শতকরা ৪.০০ ভাগে অপরিবর্তিত থাকবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জানানো হয়েছিল।
ওই সময় বলা হয়েছিল, চলমান করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা কার্যকর হওয়ার প্রেক্ষিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের তীব্রতা হ্রাস এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক সম্প্রসারণমূলক রাজস্ব ও মুদ্রানীতি গ্রহণের ফলে বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। একইসাথে, বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্নতা, চলমান রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ সকল ধরনের পণ্য (খাদ্য ও খাদ্য-বহির্ভূত) মূল্যের ঊর্ধ্বগতির পরিস্থিতি এবং অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির ও বৈশ্বিক অর্থনীতির মুখ্য সূচকসমূহের পর্যালোচনার জন্য দেশের মুদ্রানীতি সুষ্ঠুভাবে প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত মনিটারি পলিসি কমিটি রেপো সুদহার পুনঃনির্ধারণ করেছে।
জাতীয় বাজেট বক্তৃতা তথ্যানুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য সরকারের কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রাসমূহ হলো যথাক্রমে ৭.৫ ও ৫.৬ শতাংশ।