দুই ইনিংসেই হলো রানবন্যা। ভারত আগে ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রান করলো। জবাবে ডেভিড মিলারের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থামলো ২২১ রানে। ৪৫৮ রানের ধুন্ধুমার লড়াইয়ের ম্যাচে সফরকারীরা হার মানলো মাত্র ১৬ রানে। ভারত তিন ম্যাচের সিরিজ জিতে নিলো ২-০ ব্যবধানে।
অবশ্য তাদের শুরুটা নড়বড়ে না হলে দ. আফ্রিকা হয়তো জিতেও যেতে পারতো। গৌহাটিতে এদিন পাহাড়সম ২৩৮ রান তাড়া করতে নেমে দীপক চাহারের করা প্রথম ওভারে কোনো রানই নিতে পারে না প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় ওভারে অর্শ্বদীপ সিং এসে ৫ রান দিয়ে তুলে নেন দুই-দুটি উইকেট। টেম্বা বাভুমা ও রাইলি রুশো ফিরেন শূন্যরানে। প্রথম ১২ বলে ২ উইকেট হারিয়ে তারা করে মাত্র ৫ রান!
এরপর কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মার্করাম পাওয়ার প্লেতে ৪৫ রান তুলে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেন। কিন্তু সপ্তম ওভারে দলীয় ৪৭ রানের মাথায় মার্করাম আউট হয়ে আবারও ব্যাকফুটে ঠেলে দেন দলকে। তিনি ১৯ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রান করে ফেরেন।
এরপর লড়াই জমিয়ে তোলেন ডি কক ও ডেভিড মিলার। তারা দুজন চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন থেকে ৮৪ বলে ১৭৪ রান তোলেন। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা ২২১ রান পর্যন্ত যেতে পারে। অবশ্য চাহারের করা ১৭তম ওভারে মাত্র ৮ ও হার্শালের করা ১৮তম ওভারে ১১ নিয়ে জয়ের বন্দর থেকে পিছিয়ে যায় বাউচারের শিষ্যরা। এই দুই ওভারে ৩০+ রান আসলে জয়টা সহজ হতো। ১৯তম ওভারে ২৬ রান নিলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৩৭ রান দরকার হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। তারা নিতে পারে ২০ রান।
মিলার ৪৭ বলে ৮টি চার ও ৭ ছক্কায় ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন ডি কক।
তার আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, সূর্যকুমার যাদব, বিরাট কোহলির ব্যাটে ভর করে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রান সংগ্রহ করে টিম ইন্ডিয়া। যা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে তাদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
এদিন উদ্বোধনী জুটিতে ৯.৪ ওভারে ৯৬ রান তুলে ফেলেন রাহুল ও রোহিত। এই রানে রোহিত শর্মা ফেরেন ৩৭ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৪৩ রান করে। ১০৭ রানের মাথায় ফেরেন ২৪ বলে ফিফটি করা লোকেশ রাহুল। তিনি মাত্র ২৮ বলে ৫টি চার ও ৪ ছক্কায় ৫৭ রান করে যান। এরপর সূর্যকুমার ও কোহলি দলীয় সংগ্রহকে টেনে নেন ২০৯ রান পর্যন্ত। ৪২ বলে তারা দুজন ১০২ রান তোলেন।
এ যাত্রায় সূর্যকুমার মাত্র ১৮ বলে ৫টি চার ও ৪ ছক্কায় ফিফটি করেন। শেষ পর্যন্ত রান আউট হন মাত্র ২২ বলে ৫ চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৬১ রান করে। এর মধ্য দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
কোহলিকে অবশ্য আউট করা যায়নি। তিনি ২৮ বলে ৭টি চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে দিনেশ কার্তিক ৭ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন। বল হাতে দুটি উইকেট নেন কেশভ মহারাজ।
ম্যাচসেরা হন লোকেশ রাহুল।