তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা অবশ্যই এ বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারেন কিন্তু সেই পরামর্শ যেন কখনো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের মতো না হয়। একইসঙ্গে কূটনৈতিক শালীনতা যেন লঙ্ঘন না হয়। আমরাও চাই স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এমন নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের বক্তব্যের সঙ্গে আমরা শতভাগ একমত।
সোমবার (৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদন গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন চায়। স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হলে শুধুমাত্র সরকারি দলের দায়িত্ব নয়, এ দায়িত্ব কিন্তু সব দলের আছে। যারা এই নিয়ে বক্তব্য রাখছেন আশা করি তাদের সেই বক্তব্যগুলো যারা সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চালায় বিএনপিসহ তাদের কানে পৌঁছাবে এবং একটি অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তারা সহায়তা করবে।
নির্বাচন নিয়ে সাম্প্রতিক একজন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, এটি নতুন নয়, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য যারা রাষ্ট্রদূত ছিলেন, তারাও এ নিয়ে কথা বলেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে শতভাগ একমত। আমরাও স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন চাই। তারা যে কথাগুলো বলেছেন, তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। সে ধরনের নির্বাচনই আমাদের নেত্রী উপহার দিতে চান।
প্রেস কাউন্সিলের যে পূরনো আইন রয়েছে সেটার মাধ্যমে শুধুমাত্র তিরস্কার করা ছাড়া আর কোনো ক্ষমতা নেই জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রেস কাউন্সিলের জন্য এখন একটা নতুন আইন করা হচ্ছে। সেটি হলে সাংবাদিক নামধারী ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান এবং ভুয়া সাংবাদিক ধরতে কাজ করবে এই প্রতিষ্ঠান। আইনটি কয়েকদিনের মধ্যে মন্ত্রিসভায় পাস হবে। ডাটাবেজের মাধ্যমে প্রেস কাউন্সিল সঠিক সাংবাদিকের তালিকা প্রকাশ করবে।