কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবে খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে ফ্রান্সজুড়ে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ছিল এই ধর্মঘটের প্রথম দিন।
বেশ কয়েকটি ট্রেড ইউনিয়ন একযোগে এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ধর্মঘটের কারণে মঙ্গলবার ফ্রান্সে আঞ্চলিক ট্রেন চলাচল প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। বাস শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে প্যারিসের শহরতলিতে যাত্রীদের দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে। শিক্ষকরা ধর্মঘটে যোগ দেওয়ায় এর প্রভাব স্কুলগুলিতেও পড়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের একটি অংশও ধর্মঘটে যোগ দিয়েছে।
সরকারি রেলওয়ে পরিচালনা সংস্থা এসএনসিএফ জানিয়েছে, আঞ্চলিক ট্রেন চলাচল ৫০ শতাংশ কমেছে। তবে জাতীয় পর্যায়ে ট্রেন চলাচলে তেমন বিঘ্ন ঘটেনি।
এফএনএমই-সিজিটি ইউনিয়নের এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ধর্মঘট পেনলি প্ল্যান্টসহ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজের ওপর প্রভাব ফেলেছে।
ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা আশা করছেন যে, কিছু শ্রমিককে পেট্রোল ডিপোতে সরকার কাজ করতে বাধ্য করার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তাতে শ্রমিকরা ধর্মঘটের জন্য আরও উৎসাহিত হবে। কেউ কেউ বলছেন যে, সরকারের এই পদক্ষেপ ধর্মঘটের অধিকারকে বিপন্ন করেছে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল জ্বালানি তেল পরিশোধন খাতের শ্রমিক সংগঠনগুলো। এই ধর্মঘটের কারণে জ্বালানি তেলের স্টেশনগুলোতে সরবরাহ অনিয়মিত হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় জনগণকে। শেষ পর্যন্ত গত শুক্রবার তেল পরিশোধন খাতের শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের বেতন-ভাতা ৭ শতাংশ বাড়াতে সম্মত হয় সরকার। এতে শ্রমিকরা কর্মবিরতি ছেড়ে কাজে ফিরতে শুরু করেন। তাদের কাজে ফেরার চার দিনের মাথায় বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেয় শিক্ষা ও পরিবহন খাতের শ্রমিকরা।