দলের মধ্যে তীব্র বিরোধিতা ও সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ছয় সপ্তাহ আগে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বরিস জনসন। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বল্পমেয়াদী প্রধানমন্ত্রীর তালিকায় নাম লিখিয়ে বিদায় নিয়েছেন লিজ ট্রাস। এর পরপরই যুক্তরাজ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বরিস জনসন।
শুক্রবার বিবিসি জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যে সাবেক অর্থমন্ত্রী রিশি সুনাক এবং হাউজ অব কমন্সের নেতা পেনি মর্ডন্টের নাম সামনে চলে এসেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী জ্যাকব রিজ-মগ বৃহস্পতিবার বরিস জনসনের পক্ষে সহকর্মীদের কাছ থেকে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। তিনি টুইটারে ‘বরিসন অর বাস্ট’ হ্যাশট্যাগ চালু করেছেন।
জনসন যদি প্রত্যাবর্তন করেন তবে এটি ব্রিটিশ রাজনৈতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন হবে। অবশ্য কনজারভেটিভ পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে পরিচালত জরিপে দেখা গেছে, জনসনের প্রতি অনেকেরই সমর্থন রয়েছে। তবে জনসন ইস্যুতে টোরি এমপিদের মধ্যে বিভক্তিও রয়েছে। অনেকে সাফ জানিয়েছেন, জনসন ফিরে এলে তারা রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।
ক্যারিবীয় অঞ্চলে জনসন এখন ছুটি কাটাচ্ছেন। তার বাবা স্ট্যানলি আইটিভিকে জানিয়েছেন, তার ছেলে যুক্তরাজ্যে ফেরার বিমানে উঠতে পারে। তবে সে তার ছুটি সংক্ষিপ্ত করছে কিনা সে ব্যাপারে স্ট্যানলি কিছু জানাননি।
ক্যাবিনেট অফিসের মন্ত্রী ব্রেন্ডন ক্লার্ক-স্মিথ জানিয়েছেন, জনসন হচ্ছেন প্রমাণিত বিজয়ী। তিনি তার দলের ভাগ্য পুনরুদ্ধার করতে পারেন।
তবে টোরি নেতা জন ব্যারন জানিয়েছেন, নতুন জনসন সরকারের সঙ্গে কাজ করা অসম্ভব হবে। এরচেয়ে তিনি দল ছেড়ে যাওয়াই পছন্দ করবেন।