এবার মিয়ানমার থেকে ছোড়া রাইফেলের গুলি এসে পড়েছে বাংলাদেশ সীমান্তের ২ কিলোমিটার অভ্যন্তরে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
রোববার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আফছার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কয়েক দিন বন্ধ থাকলেও পুনরায় গোলাগুলির শব্দে কেঁপে উঠেছে সীমান্ত এলাকা। শনিবার সকালে নিরাপত্তার স্বার্থে ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সীমানা ঘেঁষা এলাকার ৩০টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি যখন সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের আনতে গিয়েছি, তখন আমার মাথার ওপর দিয়েই রাইফেলের গুলি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়েছে। তখন আমি নিজেও আতঙ্কে ছিলাম।’
সীমান্তের একাধিক লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার দুপুরে চাকঢালা, আমতলী মাঠের ৫০ নম্বর সীমানা পিলার থেকে ফুলতলী পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এসময় মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মাঝে।
চেরারমাঠের বাসিন্দা মোহাম্মাদুর রহমান বলেন, ‘গেল কয়েক দিন গোলাগুলি বন্ধ ছিল। তবে দুয়েক দিন না যেতেই ফের গোলাগুলির শব্দে ঘুম হারাম হয়ে গেছে।’
সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছাবের আহমদ বলেন, ‘জীবনে এমন গুলি ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের টানা শব্দ প্রথম শুনেছি। খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি।’
চেয়ারম্যান নুরুল আফছার বলেন, ‘সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চেরারমাঠ ও জামছড়ি এলাকা। কয়েকবার এসব এলাকা পরিদর্শন করেছি। এসময় ১৫ রাউন্ডের বেশি গুলি বাংলাদেশের ভেতরে পড়েছে।’
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে মিয়ানমার থেকে ছোড়া দুটি মর্টার শেল বাংলাদেশের সীমান্তে পড়ে। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে রাখাইন রাজ্যের পাহাড় থেকে ছোড়া মর্টারশেলে এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যুসহ কয়েকজন আহত হন।