রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেল সংকটে বাংলাদেশের চাহিদা মেটাতে সৌদি আরবের সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আলদুহাইলান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এই সহযোগিতা চান।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সৌদি রাষ্ট্রদূত পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে মতবিনিময় করেন। শুরুতেই রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন যা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা, জনশক্তি, ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুত বিকাশ লাভ করছে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত রিয়াদে ৩০-৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি আগামী নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সৌদি আরবের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন ঢাকা সফরের অগ্রগতি সম্পর্কেও মন্ত্রীকে অবহিত করেন। জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সফরে তার অফিস থেকে পূর্ণ সহযোগিতার কথা জানান।
বৈঠকে তারা সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিদ্যমান এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করেন। মন্ত্রী বলেন, তার অফিস সৌদিকে যেকোনও বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান জ্বালানি তেল সংকটের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের চাহিদা মেটাতে সৌদি আরবের সহযোগিতা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে এলএনজি খাতে সম্ভাব্য সৌদি বিনিয়োগের দিকে নজর দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি সংশ্লিষ্ট সৌদি স্টেকহোল্ডারদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজের সাম্প্রতিক নিয়োগকে স্বাগত জানান।
তিনি মুসলিম বিশ্বের জন্য তার গতিশীল ভূমিকার জন্য নতুন নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের জনগণ সৌদির প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য অপেক্ষা করছে। প্রস্তাবকে স্বাগত জানান সৌদি রাষ্ট্রদূত।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বহুপাক্ষিক ফোরামে সৌদি আরবের প্রতি বাংলাদেশের মূল্যবান সমর্থনসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্রমাগত সহযোগিতা ও দিক-নির্দেশনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।