সৈয়দ মেহেদী রাসেল : চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মরণঘাতী করোনা ভাইরাস। এ অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি এখন অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া আর সব মহাদেশেই। চীনের বাইরে এটি দ্রুতগতিতে ছড়াতে শুরু করেছে। বড় শহরগুলোতে যেখানে বহু মানুষের কাজ আর বসবাস- সেখানে এখন এই মহামারী বড় উদ্বেগের কারণ। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ইতিমধ্যেই ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে কানাডার। ক্যুইবেকের মন্ট্রিয়লে দুটি বড় হাসপাতালে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সিনিয়র ডাক্তারদের পরামর্শে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ট্রিয়লের জিউশ জেনারেল হাসপাতালে পঞ্চাশ এর বেশী সিনিয়র ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) আক্রান্তদের চিকিৎসার সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত মন্ট্রিয়লে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কাউকে চিহ্নিত করা যায় নি। কানাডা সরকারের দেয়া ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ৭ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত ৫৭ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ওন্টারিও প্রদেশে ২৮, ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় ২৭ এবং ক্যুইবেকে ২ জন কে সম্ভ্যাব্য করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত যেকোন তথ্যের জন্যে ১-৮৩৩৭৮৪-৪৩৯৭ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সোশ্যাল সার্ভিসের উদ্যাগে মন্ট্রিয়লের জিউশ জেনারেল হাসপাতালের প্যাভেলিয়ন কে তে আলাদাভাবে চিকিৎসা করা হবে, যেটি ২০১৬ সালে বিশেষ ব্যবস্থায় তৈরি করা হয়েছে। জিউশ জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সী বিভাগের প্রধান ডাক্তার মার্ক আফিলালো বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আমাদের হাসপাতাল খুব ভাল মানের প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে আমাদের আশা কেউ যেন আক্রান্ত না হয় এবং তাদের হাসপাতালে আসতে না হয়। তবে আমরা প্রস্তুত এমনকি আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশী রোগী আসলেও। যেহেতু করোনাভাইরাসের এখনো কোনো প্রতিষেধক বের হয়নি- তাই জিউশ জেনারেল হাসপাতালের লক্ষ্য থাকবে কিভাবে লক্ষণগুলো কমানো যায়। রোগীদের আলাদা কক্ষে রাখা ও কর্মীদের সুরক্ষা পোশাক পরিধানের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। —————————————————————————————————————- (ছবির ক্যাপশন : জিউশ জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সী বিভাগের প্রধান ডাক্তার মার্ক আফিলালো এর নেতৃত্বে পঞ্চাশ এর বেশী সিনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে বিশেষ সভা)
Disclaimer:
The editorial team is not responsible for the content of the writing.