কাতারে বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়াম নির্মাণকারী অভিবাসী শ্রমিদের ‘নিরবিচ্ছিন্ন ও ব্যাপক শ্রম অধিকার লঙ্ঘন’ করা হয়েছে। তাদেরকে জাতীয়তাভিত্তিক বৈষম্য, অবৈধ নিয়োগের শিকার এবং কিছু ক্ষেত্রে বিনা বেতনে কাজ করতে হয়েছে। ইকুইডেম নামের একটি অধিকার গ্রুপ নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টেডিয়াম কর্মীদের জন্য কাতার ‘প্রতিকূল পরিবেশ।’প্রতিবেদনের জন্য সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এমন অনেক কর্মী গুরুতর শোষণের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তারা ভয় ও নিপীড়নের কারণে কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। তাদের ‘জাতীয়তাভিত্তিক বৈষম্য, কর্মক্ষেত্রে সহিংসতাসহ শারীরিক, মৌখিক ও মানসিক নির্যাতনের মধ্যে টিকে থাকতে হয়েছে।’
ইকুইডেম আরও অভিযোগ করেছে, স্টেডিয়াম নির্মাণে কাজ করা সংস্থাগুলি ‘সক্রিয়ভাবে পরিদর্শন এড়িয়ে গেছে।’
লুসাইল স্টেডিয়ামে কাজ করেছে এমন এক নেপালি শ্রমিক অভিযোগ করেছেন, কাতারে ফিফার কর্মকর্তাদের সফরের আগে শ্রমিকদের ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
ওই নেপালি শ্রমিক বলেন, ‘ফিফা গ্রুপে অভিযোগ করার সুযোগ পেতে কর্মীরা লুকিয়ে থাকতে শুরু করে। পরে নির্মাণ সংস্থাটি সাইটে কেউ লুকিয়ে আছে কিনা জানতে তল্লাশি শুরু করে। যারা ধরা পড়েছিল তাদের হয় বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল কিংবা তাদের বেতন কেটে নেওয়া হয়েছিল।’
বকেয়া বেতন, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার মজুরি কিংবা চুক্তি শেষে আর্থিক সুবিধা না দেওয়ার বিষয়টিও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এমনকি শ্রমিকদের প্রতিশ্রুতির চেয়ে কম মজুরিও দেওয়া হয়েছে।
এক বাংলাদেশি কর্মী গবেষকদের বলেছেন, ‘আমি অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার জন্য মজুরি পাই না এবং আমি সপ্তাহে সাত দিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজ করি।’