জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের শিকার দরিদ্র দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ প্রদানে রাজী হয়েছে ধনী দেশগুলো। রোববার জাতিসংঘের কপ ২৭ শীর্ষ সম্মেলনে এ সংক্রান্ত একটি ঐতিহাসিক চুক্তি হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, এই চুক্তির ফলে জলবায়ু প্রভাবের সম্মুখীন দেশগুলোর প্রায় ৩০ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। অবশ্য ক্ষতিপূরণ মিললেও সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানি কমানোর ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
গ্লাসগোতে আগের কপ সম্মেলনের সভাপতি যুক্তরাজ্যের অলোক শর্মা বলেছেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে পর্যায়ক্রমে বের হয়ে আসার একটি সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি? এই চুক্তিতে নেই।’
দুই সপ্তাহ আগে মিশরের শারম আল-শেখে শুরু হয়েছে এবারের কপ ২৭ শীর্ষ সম্মেলন। চলতি বছরের আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার প্রায় কাছাকাছি পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত গত দুদিনের আলোচনায় একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সম্মত হয়েছে সদস্য দেশগুলো। রোববার সকালে ‘ক্ষতি ও ক্ষতিপূরণ তহবিল’ গঠনে রাজী হয়েছে উন্নত দেশগুলো।
ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর শক্তিশালী বিবৃতি দিয়ে শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছিল। বাহামাসের প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ ডেভিস বলেছেন, ‘আমরা হাল ছাড়ব না…বিকল্প আমাদের পানির তলদেশে নিয়ে যাবে।’
রোববার পাকিস্তানের জলবায়ু মন্ত্রী শেরি রেহমান জানিয়েছেন, তিনি চুক্তিতে অত্যন্ত খুশি।
তিনি বলেছেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা জলবায়ু লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারব তার জন্য আমরা মোড় ঘুরাতে পেরেছি।’