বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের বলয় ভাঙতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া সরকার। দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী ভি. শিবকুমার জানিয়েছেন, সরকার নির্দিষ্ট কিছু নিয়োগ সংস্থার ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে বিদেশি শ্রম নিয়োগের একচেটিয়াকরণের অবসানে সঠিক প্রক্রিয়া খুঁজে বের করতে কাজ করছে।
ভি. শিবকুমার আরও জানান, তার মন্ত্রণালয় জানে, কিছু স্থানীয় নিয়োগ সংস্থা বিদেশ থেকে নির্দিষ্ট ‘শ্রম সিন্ডিকেটের’ সহায়তায় সিস্টেমের সুবিধা নিচ্ছে।
সম্প্রতি স্থানীয় কেটিএম একাডেমি সমাবর্তনে যোগদান শেষে মানবসম্পদমন্ত্রী ভি. শিবকুমার সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘এই বিদেশি কর্মীরা উচ্চ মুনাফা অর্জনে কোনও পক্ষ দ্বারা যেন শোষিত না হয়, তা নিশ্চিতে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
শিবকুমার আরও বলেন, দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সমস্যা সমাধানে আলোচনা এবং সঠিক পদ্ধতি খুঁজে বের করতে তিনটি সোর্স কান্ট্রি (নেপাল, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশ) পরিদর্শন করেছে। এমনকি, প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম তার বক্তৃতায় বলেছেন, এজেন্টের মাধ্যমে না গিয়ে দেশি কর্মী নিয়োগের সময় আবেদনকারীদের সরাসরি ডিল করতে।
‘এ কারণে নিয়োগ সংক্রান্ত খরচ বেশি হচ্ছে। আবেদনকারীদের বেশি খরচ বহন করতে যেন না হয়, তা নিশ্চিতে আমরা এজেন্টদের জড়িত না করে সরাসরি ডিল করার সঠিক উপায় খুঁজে করার কাজ করছি’— বলেন শিবকুমার।
তিনি বলেন, সর্বোত্তম পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে জি টু জি পদ্ধতি।
এর আগে, গেলো মাসে মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রাইভেট এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সির সেক্রেটারি জেনারেল সুকুমারন নায়ার দাবি করেন, মুষ্টিমেয় কিছু বিদেশি নিয়োগকারী সংস্থা সিন্ডিকেটের সহায়তায় ডিজিটাল সিস্টেমে বিদেশি কর্মী নিয়োগে একচেটিয়া কাজ করছে।
সুকুমারন নায়ার দাবি করেন, সিন্ডিকেটগুলো মালয়েশিয়ার বিদেশি শ্রমিকদের, বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে আসা ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে শোষণ করছে বলে মনে করা হচ্ছে। অবিলম্বে ডিজিটাল পদ্ধতির কার্যক্রম গ্রহণ এবং বিদেশি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাঠামো সহজ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।