ত্রাণের অভাবে চরম সঙ্কটে রয়েছেন উত্তর সিরিয়ার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। ভূমিকম্প আঘাত হানার চার দিন পরও পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছায়নি সেখানে।
বিবিসি’র এক খবরে বলা হয়েছে, উত্তর সিরিয়ার একটি হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার মোহাম্মদ হাসাউন জানান, ভূমিকম্পের পর এখন তাদের কাছে যে চিকিৎসা সামগ্রী রয়েছে তা দেশের উত্তরাঞ্চলের ২০ শতাংশ মানুষের চাহিদাও পূরণ হবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি শুক্রবার জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় ৯০ শতাংশ মানুষের সাহায্যে প্রয়োজন।
উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করছে এমন একটি বেসামরিক ত্রাণ সংস্থা হোয়াইট হেলমেট-এর প্রধান জাতিসংঘের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। তিনি বলেন, ভূমিকম্পের পর জাতিসংঘের পদক্ষেপ ছিল খুবই বাজে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের প্রথম ত্রাণ-বাহী গাড়িবহর তুরস্ক থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে ওই অঞ্চলে প্রবেশ করে।
বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সিরিয় ভূখণ্ডের কিছু অংশে জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ বিতরণ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
রাশিয়া বলেছে, সাহায্য সামগ্রী দামেস্কের সরকারের মাধ্যমে যাওয়া উচিত। কিন্তু হোয়াইট হেলমেট থেকে দাবি করা হয়, ভূমিকম্পের পর সিরিয়ার সরকার উত্তর সিরিয়ায় ‘কিছুই’ পাঠায়নি।