মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার হোয়াইট হাউসে তার সাপ্তাহিক ছুটি কাটাচ্ছিলেন। রাতে ওয়াশিংটনের একটি রেস্তোরাঁয় স্ত্রী জিলের সঙ্গে ভোজেও যোগ দিয়েছিলেন।
কিন্তু পর্দার আড়ালে হোয়াইট হাউস এবং অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারা ইউক্রেনে বাইডেনের অঘোষিত ভ্রমণের জন্য পরিকল্পনা করছিল। রাশিয়ার আক্রমণের এক বছর পূর্তি হওয়ার কয়েক দিন আগে ইউক্রেনের সাথে সংহতি প্রদর্শনের জন্যই বাইডেন এই পরিকল্পনার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কয়েক মাস পরিকল্পনার পর শুক্রবার বাইডেন ইউক্রেন সফরের গ্রিন সিগন্যাল দেন কর্মকর্তাদের।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রোববার ভোর ৪টা ১৫ মিনিটে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ওয়াশিংটনের বাইরে অবস্থিত অ্যান্ড্রুস ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে কয়েক জন সহযোগীকে নিয়ে বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে রওনা হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই সফরে বাইডেনের সঙ্গে ছিলেন মাত্র এক জন সাংবাদিক এবং এক জন চিত্রগ্রাহক।
প্রেসিডেন্ট রাতারাতি জার্মানিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রামস্টেইন বিমান ঘাঁটিতে যান। বিমানটিতে জ্বালানি দেওয়া হয় এবং তিনি দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেজেসজোতে উড়ে যান। এক ঘণ্টার চলার পর বাইডেনের বিমান পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্তবর্তী শহর প্রজেমিসলে গিয়ে অবতরণ করে। সেখান থেকে একটি ট্রেনে ১০ ঘন্টা ভ্রমণের পর তিনি কিয়েভ গিয়ে পৌঁছান।
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ট্রেনটি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ-পাসাজিরস্কি স্টেশনে থামে। প্ল্যাটফর্মের চারপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান জানিয়েছেন, বাইডেনের সফরের ব্যাপারে রুশ কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছিল। তবে এর বিস্তারিত কোনও তথ্য আর তিনি জানাননি।