বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। বয়স এখন ৮০ চললেও অভিনয় থেকে দূরে নেই। এই বয়সেও অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করে যাচ্ছেন। কয়েক দিন আগে অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে পাঁজরের কার্টিলেজ ভেঙে গেছে তার।
অভিনয় করতে গিয়ে এবারই প্রথম আহত হননি অমিতাভ। বরং এর আগেও গুরুতর আহত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, চিকিৎসকরা একবার তাকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেছিলেন।
ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১৯৮২ সালের জুলাই মাসে ব্যাঙ্গালুরুতে ‘কুলি’ সিনেমার শুটিং করেন অমিতাভ বচ্চন। ব্যাঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনিত ঈশ্বরের সঙ্গে তার একটি অ্যাকশন দৃশ্য ছিল। এ দৃশ্যের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে জাম্প করার পর ভুল জায়গা পা ফেলেন অমিতাভ। এতে করে সহঅভিনেতার ঘুষি গিয়ে অমিতাভের পেটে লাগে। ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান অমিতাভ।
অমিতাভ বচ্চনকে দ্রুত সেন্ট ফিলোমেনা হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি ভিত্তিতে তার অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। তারপর তাকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অমিতাভ বচ্চনের তলপেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা তাকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেন। যদিও পরে অ্যাড্রেনালিন ইনজেকশন দিয়ে জ্ঞান ফেরাতে সক্ষম হন চিকিৎসকরা। এরপর সুস্থ হয়ে ‘কুলি’ সিনেমার বাকি শুটিং শেষ করেন এই অভিনেতা।
হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অমিতাভ বচ্চনের পেটের ক্ষত মারাত্মক ছিল। তার মাঝে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল ছিল। অমিতাভ বচ্চন নিজের ব্লগে একসময় লিখেছিলেন— চিকিৎসকরা কয়েক মিনিটের জন্য আমাকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন। এরপর ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।