রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হওয়ায় ক্ষেপেছে ইউক্রেন। কিয়েভ এ ঘটনাকে ‘আন্তর্জাতিক আইন আরেকবার ধর্ষণের শিকার হলো’ বলে মন্তব্য করেছে।
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের এক সদস্য দেশ বছরে এক মাস সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এবং এটি ঘূর্ণায়মন প্রক্রিয়া। রাশিয়া সর্বশেষ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিল। ওই সময় ইউক্রেনের ওপর হামলা শুরু করেছিল রাশিয়া। গত মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। এর ফলে রাষ্ট্রপ্রধানের মাথায় আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঝুলছে এমন একটি দেশ এখন নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হলো।
ইউক্রেনের অভিযোগ সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাশিয়াকে সভাপতির পদ গ্রহণ করা আটকাতে পারবে না।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, রাশিয়ার এই সভাপতি হওয়া ‘এপ্রিল ফুল দিবসের জন্য সর্বকালের সবচেয়ে খারাপ তামাশা’ এবং ‘আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা রক্ষকরা যেভাবে কাজ করছে তাতে কিছু ভুল আছে বলে মনে করিয়ে দিচ্ছে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক বলেছেন, এই পদক্ষেপটি ‘আন্তর্জাতিক আইনের আরেকটি ধর্ষণ… যে সত্তা আক্রমনাত্মক যুদ্ধ চালায়, মানবিক ও ফৌজদারি আইনের নিয়ম লঙ্ঘন করে, জাতিসংঘের সনদকে ধ্বংস করে, পারমাণবিক নিরাপত্তাকে অবহেলা করে, তা বিশ্বের প্রধান নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান হতে পারে না।’