মানহানির মামলায় ভারতীয় কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন গুজরাটের আদালত। একই সঙ্গে আদালত তার দুই বছরের সাজাও স্থগিত করেছেন। এ সাজার বিরুদ্ধে করা আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাজার রায় স্থগিত থাকবে।
সোমবার (৩ এপ্রিল) কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে রাহুল আপিল করলে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে না পৌঁছা পর্যন্ত তার সাজা স্থগিতের নির্দেশ দেন গুজরাটের সুরাট জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
এ মামলার আগামী শুনানির দিন ১৩ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত। তবে ওই দিন রাহুলকে সশরীরে আদালতে উপস্থিত না হলেও চলবে। এ ছাড়া কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে রাহুলের আবেদনের পরবর্তী শুনানি ৩ মে অনুষ্ঠিত হবে।
এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, রাহুল কারাদণ্ডাদেশ বাতিলের আবেদন করলে আদালত বিজেপির সংসদ সদস্য পুর্নেশ মোদিকে আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে তার বক্তব্য নিয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পুর্নেশ মোদিই ২০১৯ সালে রাহুলের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেছিলেন।
আজ কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে সুরাট জেলা দায়রা ও জজ আদালতে যান সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বোন প্রিয়াংকা গান্ধী, বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা ও তিনজন মুখ্যমন্ত্রী।
রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি হয়েছিল ২০১৯ সালে। ওই সময় লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণায় তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘চৌকিদার চোর হ্যায়।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘সব মোদি কেন চোর হয়। সব চোরের পদবি কীভাবে “মোদি” হয়।’
রাহুলকে সাজা দেওয়ার পরদিন ১৪টি রাজনৈতিক দল যৌথভাবে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন করে।