ইসরায়েল-ফিলিস্তিন উত্তেজনা চরম রূপ নিতে শুরু করেছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে বন্দুকধারীর হামলায় দুই ইসরায়েলি বোন নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর শুক্রবার তেল আবিবে একটি গাড়ির ধাক্কায় একজন ইতালীয় পর্যটক নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর ইসরায়েল রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী ও সেনা তলব করেছে।
গত সপ্তাহে আল-আকসা মসজিদের প্রবেশদ্বারে এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি এক নারীকে ইসরায়েলি বাহিনীর উত্যক্তের প্রতিবাদ করেছিল ওই ব্যক্তি। এ ঘটনার পর পুনরায় বুধবার ভোরে আল-আকসা মসজিদের অভ্যন্তর থেকে সাড়ে তিন শতাধিক ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলে ৩৪টি রকেট হামলা চালানো হয়। লেবানন থেকে হামলা শুরু হওয়ার পর গাজা থেকে আরও ডজন খানেক রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর জন্য হামাসকে দায়ী করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে এই উত্তেজনা রাতারাতি বৃহত্তর সংঘাতে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার তেল আবিবের একটি জনপ্রিয় এলাকায় ভিড়ের মধ্যে গাড়ি নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক ইতালি পর্যটক নিহত হন। পুলিশ ওই হামলকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে। ওই দিন সকালে পশ্চিম তীরে বন্দুক হামলায় ২০ ও ১৬ বছর বয়সী দুই ইসরায়েলি বোন নিহত ও তাদের মা গুরুতর আহত হন। জর্ডান ভ্যালির ইহুদি বসতি হামরার কাছে গাড়িতে থাকা অবস্থায় হামলার শিকার হন তারা।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সাথে হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমাদের শত্রুরা আমাদের আবার পরীক্ষায় ফেলছে।’
নেতানিয়াহু আক্রমণ মোকাবিলায় সীমান্তের রিজার্ভ পুলিশ এবং অতিরিক্ত সামরিক বাহিনী তলবের নির্দেশ দিয়েছেন।