ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার স্পর্শকাতর অংশ প্রকাশ হয়ে গেছে। পেন্টাগনের ফাঁস হওয়া নথিতে এ বিষয়টি উঠে এসেছে। এই গোপন নথি থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র তার কয়েক দশকের পুরনো মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করছে।
বিবিসি জানিয়েছে, বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে বিপর্যস্ত বোধ করছে দক্ষিণ কোরিয়া। নথিতে দেখা গেছে, ইউক্রেন ব্যবহার করতে পারে এমন গোলাবারুদ বিক্রি করবে কিনা তা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিধাগ্রস্ত রয়েছে। ওয়াশিংটন কিয়েভকে সশস্ত্র করার জন্য সিউলকে চাপ দিচ্ছে। কিন্তু যুদ্ধে থাকা দেশগুলোতে অস্ত্র সরবরাহ না করার নীতির উল্লেখ করে দক্ষিণ কোরিয়া এখনও বিষয়টি ঠেকিয়ে রেখেছে।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের শেষ হয়ে যাওয়া গোলার মজুত পূরণ করতে দক্ষিণ কোরিয়া গোলা বিক্রিতে সম্মত হয়েছিল। চুক্তির অংশ হিসেবে, সিউলের দাবি ছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিজের জন্য গোলাগুলো রাখতে হবে, সেগুলো কিয়েভকে দেওয়া যাবে না। ফাঁস হওয়া নখিতে দেখা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার চুক্তিটি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল এবং সন্দেহ করেছিল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রকৃতপক্ষে ইউক্রেনের কাছে গোলা পাঠাতে পারে।
গত পহেলা মার্চ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের দুই সিনিয়র জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মধ্যে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট ইউনের পররাষ্ট্র বিষয়ক সেক্রেটারি ই মুন-হুই তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কিম সুং-হানকে বলেছিলেন যে সরকারের ‘আশঙ্কা আমেরিকা গোলাবারুদের শেষ ব্যবহারকারী হবে না।’
তারা আরও উদ্বিগ্ন ছিল যে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন সরাসরি প্রেসিডেন্ট ইউনকে এই ইস্যুতে ফোন করতে পারেন এবং দক্ষিণ কোরিয়া যদি ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে তার নীতি পরিবর্তন করে, তাহলে বোঝা যাবে, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে পড়েছে।