জাতীয় সংসদে যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের জের ধরে দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
তিনি জানান, জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও’র আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ থেকে ২৮ এপ্রিল জাপান সফর করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সফরকালে ৮ থেকে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা আছে।
সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে প্রথম জাপান সফর করেন। এরপর ২০১০, ২০১৪, ২০১৬ এবং সর্বশেষ ২০১৯ সালে টোকিও সফর করেন তিনি। এবারের সফর দেশটিতে তার ষষ্ঠ সফর হতে যাচ্ছে।
মুখপাত্র জানান, ১২ মে ঢাকায় শুরু হচ্ছে ইন্ডিয়ান ওশেন কনফারেন্স। ১৩ মে হবে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আগামী ১২-১৩ মে ঢাকায় হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে ‘ইন্ডিয়ান ওশেন কনফারেন্স’ এর ষষ্ঠ আসর হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। তিনি ১২ মে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। ১২ মে সম্মেলন উদ্বোধনের আগে বেশ কয়েকটি প্রাক-সম্মেলন কর্মশালা হবে। ১৩ মে মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশন হবে।
সেহেলী সাবরীন জানান, মরিশাসের রাষ্ট্রপতি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে ইতোমধ্যে সম্মতি দিয়েছেন। ভুটান ও শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাপানের ভাইস মিনিস্টার সম্মেলনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সেক্টরের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য প্যানেলিস্ট, শিক্ষাবিদ, গবেষকগণ অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সম্মেলনটি মূলত ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোকে নিয়ে আয়োজন করা হলেও এতে পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোচনা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত সর্বমোট ৫টি সম্মেলন যথাক্রমে: সিঙ্গাপুর (২০১৬), শ্রীলঙ্কা (২০১৭), ভিয়েতনাম (২০১৮), মালদ্বীপ (২০১৯) এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে (২০২১) অনুষ্ঠিত হয়েছে। ষষ্ঠ আসরটি বাংলাদেশে হতে যাচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আঞ্চলিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব এবং পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক এবং ভূ-অর্থনৈতিক বাস্তবতার নিরিখে বাংলাদেশে সম্মেলনটি আয়োজন বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।