রাধিকা আপ্তে মুখরা না হলেও মুখচোরা নন। নিন্দুকের কথা কানে তোলার মানুষ তিনি কখনও ছিলেন না। যে কারণে ক্যারিয়ারের শুরুতে যথেষ্ট বিড়ম্বনা সয়েও ১৭ বছর পার করে দিয়েছেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। গায়ের রং এমনকি শারীরিক গড়নের কারণে ফসকে গেছে একাধিক সিনেমা। তারপরও আত্মবিশ্বাস হারাননি তিনি।
রাধিকা আপ্তের নতুন সিনেমা ‘মিসেস আন্ডারকভার’। স্পাই কমেডি ধাঁচের এই সিনেমার প্রচারে এক সাক্ষাৎকারে অকপটে তিনি বলেছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের কথা।
রাধিকা এর আগেও বলেছেন ইন্ডাস্ট্রিতে তার প্রাথমিক দিনগুলোতে তাকে প্রায়ই শরীরিক গড়ন বদলে ফেলার পরামর্শ দেয়া হতো। এখনও এ ধরনের মন্তব্যের সম্মুখীন হন কিনা জানতে চাইলে রাধিকা বলেন, ‘না। এখন আমি মনে করি না যে, কেউ এ প্রশ্ন করবে। তবে হ্যাঁ, ওজন বেশি থাকার কারণে আমি একটি সিনেমায় সুযোগ পাইনি।’
শুধু তাই নয়, রাধিকা জানান, বলিউডে পা রাখতেই তার স্তনের আকার থেকে নাকের গঠন নিয়ে নানা মন্তব্য শুনতে হয়। রাধিকার কথায়, ‘আমার স্তনের আকার ছোট, নাকটাও ঠিক না। বড় স্তন না হলে নাকি কাজ পাওয়া যায় না বলেছে অনেকে। কারণ তারা এটা তাদের অধিকার মনে করেছে।’
তবে নিন্দুকের কথায় নিজেকে পাল্টাতে যাননি রাধিকা। কৃত্রিম সৌন্দর্যের দাসত্ব করে নয়, বরং রাধিকা নিজের শর্তে ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে ফেলেছেন এতোগুলো বছর।
মিসেস আন্ডারকভারে রাধিকার চরিত্রের নাম দুর্গা। মজার, দয়ালু, আন্তরিক, তবে আনাড়ি এবং নিজের সম্পর্কে অনিশ্চিত এমন একটি চরিত্র এটি।
রাধিকা বলেন, ‘প্রত্যেক ঘরেই একজন দুর্গা থাকে। একজন মহিলা যে চুপচাপ তার কাজ করে যায় এবং তাকে শুধু একজন গৃহিণী হিসাবে বিবেচনা করা হয় বলে তার প্রাপ্য সে পায় না। তবে এই সিনেমা আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মানসিকতার সঙ্গে দুর্গাকে লড়াই করতে শেখাবে।’