সুদানের সেনাবাহিনী ও একটি আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ে রাজধানী খার্তুমে সংঘর্ষে ৫৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
রোববার (১৬ এপ্রিল) বিবিসি জানায়, দেশটির চিকিৎসাকর্মীরা জানিয়েছে, আশেপাশের শহর ও অঞ্চলে কমপক্ষে ৫৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। কয়েক ডজন সামরিক কর্মী মারা গেছে, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫৯৫ জন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধা-সামরিক বাহিনীর মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ে আফ্রিকার এই দেশটি কেঁপে উঠেছে। দারফুরসহ অন্যান্য অঞ্চলেও সহিংসতার খবর মিলেছে। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, সেনাপ্রধানের বাসভবন, এবং খার্তুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দখলে নেওয়ার দাবি করেছে আরএসএফ।
তবে এ দাবি নাকচ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের কাবকাবিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে দুইপক্ষের গোলাগুলিতে প্রাণ গেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তিন কর্মীর।
এক বিবৃতিতে আরএসএফ জানিয়েছে, তারা উত্তরের শহর মেরোওয়ে এবং পশ্চিমে এল-ওবেইদের বিমানবন্দর দখল করেছে। সেখানে বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
খার্তুমের বাসিন্দারা বিবিসিকে তাদের আতঙ্ক ও ভয়ের কথা জানিয়েছেন। একজন বর্ণনা করেন তার পাশের বাড়িতে গুলি চালানো হয়েছে।
সুদানের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, আধাসামরিক বাহিনী সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করেছে। ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল নাবিল আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের যোদ্ধারা খার্তুম এবং সুদানের আশেপাশে বিভিন্ন সেনা ক্যাম্পে হামলা চালায়। সংঘর্ষ চলছে এবং সেনাবাহিনী দেশ রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে।’