সুদানে যুদ্ধরত দলগুলো ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী (এসএএফ) জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় স্থানীয় সময় সোমবার মধ্যরাত থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে।
আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সোমবার বলেছেন, দুই দিনের ব্যাপক আলোচনার পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহেও বেশ কয়েকটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। তবে সুদানের সেনাবাহিনী ও প্রতিদ্বন্দ্বী আধা সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) তা মেনে চলেনি।
এক বিবৃতিতে ব্লিনকেন বলেন, যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্র সুদানের বিবদমান পক্ষ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এ পর্যন্ত যুদ্ধে অন্তত ৪২৭ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালসহ অনেক জরুরি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুদানের রাজধানী খার্তুমে লাখ লাখ মানুষ আটকা পড়েছে। সেখানে খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, লোহিত সাগর, হর্ন অব আফ্রিকা ও সাহেল অঞ্চলের পার্শ্ববর্তী দেশ সুদানের সহিংসতা ক্রমশ বিপর্যয়কর পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। এই সহিংসতা সুদানের বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আন্তোনিও গুতেরেস সুদানে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সুদানকে অতল গহ্বরের কিনারা থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সবাইকে নিজ নিজ ক্ষমতার মধ্যে থেকে সবকিছু করতে হবে। আমরা এই ভয়ানক সময়ে সুদানের পাশে আছি।’
সুদানের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সুদানের সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনী আরএসএফের মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধের এক পক্ষে রয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। অপর পক্ষে রয়েছেন আরএসএফের প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতি।