ব্রিটেনে জীবনযাত্রার সঙ্কটের কবলে পড়া নারীরা বেঁচে থাকার জন্য বাধ্য হয়ে যৌনকর্মী হয়ে যাচ্ছে। কয়েকটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের বরাত দিয়ে শনিবার দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।
দাতব্য সংস্থাগুলি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে ট্রমা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাসহ অসহায়-দরিদ্র নারীদের সহায়তা তহিবল কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। এসব নারীকে আবাসনের বিনিময়ে বা অন্যান্য মৌলিক চাহিদা মেটানোর জন্য যৌন পেশার দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে। অর্থনৈতিক সঙ্কট বাড়ার কারণে বাড়িওয়ালারা ছাড় বা বিনামূল্যে বাসস্থানের বিনিময়ে এসব নারীর কাছে যৌনতা দাবি করছে। অপরাধীরা এটিকে অপব্যবহার এবং নিয়ন্ত্রণের একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে।
এটি বিশেষত অভিবাসী নারী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে যারা এই আপত্তিজনক সম্পর্ক ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে তাদের জন্য সঙ্কট আরও কঠিন হয়ে উঠছে।
দ্য বিয়ন্ড দ্য স্ট্রিটস দাতব্য সংস্থা বলছে, জীবনযাত্রার ব্যয় তাদের বিল ও ভাড়া মেটাতে ‘বেঁচে থাকার যৌনতার’ দিকে ঝুঁকতে বাধ্য করছে, যার ফলে শোষণ ও অপব্যবহার বেড়েছে।
দাতব্য সংস্থার একজন সহায়তা কর্মী জানিয়েছেন, তিনি এমন নারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন যারা যৌনতা বিক্রির ফাঁদে পড়েছেন। এছাড়া এমন অনেকের সাথে কথা বলেছেন যারা জীবনযাপনের মৌলিক চাহিদা মেটানোর জন্য যৌনতার সাথে কম বেতনের চাকরিতে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছে।
ল্যাটিন আমেরিকান উইমেনস এইড সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নারী অভিবাসীদের ‘ভাড়ার জন্য যৌনতার’ একাধিক ঘটনা দেখেছে। একটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এক অভিবাসী নারী ঘুমন্ত অবস্থায় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন। পরে ওই নিপীড়ক যৌনতার বিনিময়ে ওই নারীকে তার বাড়িতে থাকার প্রস্তাব দেয় এবং ওই নারী তা গ্রহণ করে।
সংস্থাটির নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতা কেন্দ্রের সমন্বয়ক বেলেন রুইজ বলেছেন, ‘এটা অগ্রহণযোগ্য যে, এই ধরনের দুর্বল পরিস্থিতিতে নারীরা এত ঘন ঘন হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনের মুখোমুখি হয়, বারবার শিকার হয় এবং প্রতিকার পেতে অক্ষম হয়।’