বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ই-ভিসা চালু করেছে সৌদি আরব। ফলে, এখন থেকে সৌদি আরবে যেতে আর স্টিকার ভিসার প্রয়োজন হবে না। সৌদি আরবে ভিজিটের জন্যও ই-ভিসা নিতে পারবেন বাংলাদেশিরা। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা সেনজেন ভিসা থাকতে হবে।
সোমবার (১ মে) ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসে ই-ভিসার উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষে দূতাবাসে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক শফিকুর রহমান প্রমুখ।
ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকরা আজ থেকে ই-ভিসা নিয়ে সৌদি আরব যেতে পারবেন। আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। আর স্টিকার ভিসার প্রয়োজন হবে না। এটা অনেক সহজ হবে।
তিনি বলেন, আগে বাংলাদেশিদের ওমরাহর জন্য ই-ভিসা চালু ছিল। তবে, এখন থেকে সব ধরনের ভিসার ক্ষেত্রে ই-ভিসা নেওয়া যাবে।
কয়েকটি দেশে একই ধরনের ই-ভিসা ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা সৌদি সরকারের আছে বলেও জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, সুদান থেকে ১০০টি দেশের ৬ হাজার লোককে উদ্ধার করেছে সৌদি আরব। বাংলাদেশের নাগরিকদেরও উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। সুদান থেকে এসে যে কেউ সৌদি আরবে আশ্রয় নিতে পারবেন। আমরা এক্ষেত্রে স্বাগত জানাই। সুদান থেকে বাংলাদেশিদের উদ্ধারের জন্য সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বিএমইটির মহাপরিচালক শহীদুল আলম বলেন, বাংলাদেশ থেকে যেসব কর্মী সৌদি আরবে যান, তারা আরবি বলতে পারেন না। এজেন্সি থেকে তারা ভিসা নিয়ে এলে বুঝতে পারেন না, এটা কোন প্রকার ভিসা। সে কারণে ভিসায় ইংরেজি বা বাংলা ভাষা থাকলে সুবিধা হয়। আমি আশা করি, পরে সৌদি আরব ই-ভিসায় ইংরেজি বা বাংলা ভাষা সংযোজন করবে।