রোববার ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচ শেষ করেই সৌদি আরবের বিমান ধরার কথা ছিল লিওনেল মেসির। কিন্তু ওই ম্যাচে তারা লরিয়েঁর কাছে ৩-১ ব্যবধানে হেরে যায়। এরপর প্যারিস সেন্ত জার্মেই’র (পিএসজি) কোচ ক্রিস্টফ গালতিয়ের ও ফুটবল উপদেষ্টা লুইস ক্যাম্পোস তার সৌদি আরব সফরের বিরোধিতা করেন। মেসিকে সৌদি আরব না যেতে বলেন।
কিন্তু তাদের টেক্কা দিয়ে মেসি যাওয়ার অনুমতি আনেন ক্লাব মালিক কাতারি বোর্ড থেকে। এরপর সৌদি আরবের বিমান ধরে পৌঁছে যান মরুভূমির দেশে।
জানা গেছে, মেসি সৌদি আরবের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের শুভেচ্ছা দূত। তারই অংশ হিসেবে তিনি সৌদি আরব সফরে এসেছেন। এর আগে তিনি গেল বছরের মে মাসে সৌদি আরব এসেছিলেন।
সোমবার তাকে স্বাগত জানিয়ে এবং মেসির পরিবারের ছবি দিয়ে সৌদি আরবের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আহমেদ আল কাতিব লিখেন, ‘সৌদি আরবের জাদুকরী পর্যটন কেন্দ্রগুলো উপভোগ করতে এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা দিতে মেসি ও তার পরিবারকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি আনন্দিত। আমরা সারা বিশ্বের ভ্রমণ পিপাসুদের সৌদি আরবের ইউনিক সৌন্দর্য্য ও আতিথিয়েতার অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে স্বাগত জানাই।’
সৌদি আরবে আসার একদিন আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে মেসি লিখেছিলেন, ‘সৌদি আরবে এতো সবুজ আছে তা কি কেউ ভেবেছিল? আমি যখনই পারি এসব অপ্রত্যাশিত বিস্ময় অন্বেষণ করতে ভালোবাসি।’
তার এই পোস্টের পর অনেকেই ধারনা করছিল রোনালদোর পর মেসিও মনে হয় সৌদি আরবে খেলতে যাচ্ছেন। যেহেতু জুনে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে পিএসজির সঙ্গে।
অবশ্য সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল মেসিকে বছরে ৪০০ মিলিয়ন ইউরো (৪৩৮ মিলিয়ন ডলার) বেতনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে। গেল মাসে সৌদি গেজেট এমনই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
মেসি এই সফরে তার চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলেন কিনা সেটা নিয়েও রয়েছে নানা গুঞ্জন।