দুই বাহিনীর মধ্যে ১৫ এপ্রিল লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে এক লাখেরও বেশি মানুষ সুদান ছেড়ে পালিয়েছে। মঙ্গলবার জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে সুদানের অভ্যন্তরে আরও তিন লাখ ৩৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দ্রুত এই যুদ্ধ শেষ না হলে ‘সম্পূর্ণ বিপর্যয়’ ঘটতে পারে বলে সতর্ক করেছেন কর্মকর্তারা।
বিবিসি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া সত্ত্বেও রাজধানী খার্তুমে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর মধ্যে লড়াই চলছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র ওলগা সাররাডো জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেছেন, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া এক লাখ মানুষের মধ্যে সুদানের বাসিন্দা, দক্ষিণ সুদানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকারী নাগরিক এবং যুদ্ধ থেকে পালিয়ে সেখানে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিরা রয়েছেন। শরণার্থীরা উত্তরে মিশর এবং পশ্চিমে চাদের সাথে সুদানের সীমান্ত দিয়েও পালিয়েছে।
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আঞ্চলিক পরিচালক আহমেদ আল-মানধারি জানিয়েছেন, খার্তুমে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলো আক্রমণের মুখে পড়েছে এবং কয়েকটিকে সামরিক ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে প্রায় ২৬টি হামলার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি হামলার ফলে হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ও বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু হয়েছে।’