মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন ইস্যুতে সেখানকার পরিবেশ পর্যবেক্ষণে গিয়ে প্রতিনিধি দলের রোহিঙ্গা সদস্যরা বলেছেন, আমরা আমাদের দেশ মিয়ানমারে চলে আসতে চাই। কিন্তু আমাদের অধিকার আর নাগরিকত্ব ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে হবে। এসব পেলেই আমরা মিয়ানমারে চলে আসবো।
শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে মিয়ানমারে দুই দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এসব দাবি তুলে ধরেছেন রোহিঙ্গারা।
এসময় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান এবং অন্যান্য প্রতিনিধিদলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি দলের এক রোহিঙ্গা বলেন, আমরা এখন বাংলাদেশের মেহমান। সেখানে (বাংলাদেশ) আমরা কোনোদিন নাগরিকত্ব পাবো না। সেখানে আমরা জায়গা-জমি দোকানপাট ও ঘরের মালিক হতে পারবো না। তাই আমাদের মন চায় এদেশে (মিয়ানমার) চলে আসতে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান প্রতিনিধি দলের রোহিঙ্গাদের কাছে জানতে চান, মিয়ানমার এখন যে সুযোগের কথা বলেছে সেগুলো পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যে অন্যান্য সুবিধাও পাবেন রোহিঙ্গারা এ বিষয়টি আপনারা কিভাবে দেখছেন? তখন অপর এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘মিয়ানমার ৩৫টি জাতিকে সবকিছু দিতে পারলে আমাদের অধিকার দিতে সমস্যা কোথায়? তারা আমাদের জমি ও ঘরবাড়ি কেড়ে নিয়ে অন্যদের দিয়ে ফেলেছেন। অনেক নির্যাতন করেছেন। তারপরও এটি আমাদের নাড়ি কাটা দেশ বলে আমাদের দাবিকৃত অধিকারগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে ফিরে আসতে চাই। আমাদের অধিকার, জাতীয় পরিচয়পত্র ও নাগরিকত্ব পেলে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার চলে আসার জন্য বলতে হবে না। আমরা এমনিতেই চলে আসবো। কথা বলার অনুমতি পেয়েছি বলে এই দাবিগুলো এখানে তুলে ধরেছি।
এর আগে একই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ৩ নারীসহ ২০ জন রোহিঙ্গা, একজন অনুবাদক ও ৬ জন বিভিন্ন দপ্তরের বাংলাদেশি কর্মকর্তা মিয়ানমারের রাখাইনে পৌঁছান। সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন ও আলোচনা শেষে আজ বিকেলেই তাদের টেকনাফে ফেরার কথা রয়েছে।