ভারতের মণিপুরে সহিংসতা মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪ জনে পৌঁছেছে। শনিবার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনডিটিভি অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কয়েক দিনের সহিংসতায় রাজ্যে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয় চূড়াচাঁদপুর জেলায় এবং ১৫ জনের মৃত্যু পূর্ব ইম্ফল জেলায়। পশ্চিম ইম্ফলে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের।
তারা আরও জানিয়েছেন, পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও বিক্ষিপ্তভাবে এখনও সহিংসতা ঘটনা ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে শান্তি বজায় রাখতে আরও বেশি সংখ্যক সেনা পাঠানো হয়েছে রাজ্যে। বর্তমানে ভারতীয় সেনা এবং অসম রাইফেলসের প্রায় ১০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৩ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকেই অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে।
ইম্ফাল উপত্যকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হল মেইতি জনজাতি। গোষ্ঠীটি তফসিলি মর্যাদা আদায়ে দীর্ঘ এক দশক আন্দোলন করছে। সম্প্রতি মণিপুরের বিজেপি সরকার সেই দাবি মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ কুকিসহ অধিকাংশ আদিবাসী সংগঠন। তাদের বক্তব্য, মেইতিরা যদি তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি পেয়ে যায়, তাহলে আদিবাসীদের অধিকার ক্ষুন্ন হবে। বুধবার অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন আদিবাসী ঐক্য মিছিলের ডাক দেয় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। সেই মিছিল থেকেই সংঘাতের সূচনা। বহু এলাকায় হাতাহাতি, মারধর, দোকানপাট ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন লাগানোর মতো ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের আট জেলায় জারি করা হয় কারফিউ।