বাংলাদেশে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বলেছে, মিয়ানমারের ‘অবরুদ্ধ শিবিরে’ ফিরে যাবে না। স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনকে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে শুক্রবার মিয়ানমারে সফর করার পরে শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে রোহিঙ্গারা এ কথা বলেছে।
২০১৭ সালে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে সেনা নেতৃত্বাধীন দমন-পীড়নের শিকার হয় রোহিঙ্গারা। ওই সময় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছে।
পুনর্বাসনের ব্যবস্থা দেখতে শুক্রবার রাখাইন রাজ্যের মংডু উপশহর এবং আশেপাশের গ্রাম পরিদর্শন করেছেন ২০ রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থী এবং সাত বাংলাদেশি কর্মকর্তা।
রোহিঙ্গারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে এবং নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা মিয়ানমারে ফিরে যাবে না।
শরণার্থী প্রতিনিধিদের মধ্যে থাকা অলি হোসেন ফোনে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা শিবিরে বন্দী থাকতে চাই না। আমরা আমাদের জমি ফিরে পেতে চাই এবং আমরা সেখানে নিজেদের বাড়ি তৈরি করব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কেবল নাগরিকত্ব এবং সব অধিকার নিয়ে ফিরে যাব।’
যে সব রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরতে চায় তাদের জাতীয় যাচাইকরণ কার্ড (এনভিসি) দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা একে অপর্যাপ্ত বলে মনে করে।
আরেক শরণার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের জন্মভূমি এবং আমরা মিয়ানমারের নাগরিক এবং নাগরিকত্ব নিয়ে ফিরে যাব। আমরা কখনই এনভিসি গ্রহণ করব না। এটি কার্যকরভাবে রোহিঙ্গাদের বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করবে।’