পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে হামলার ঘটনায় কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর) বিবৃতিতে বলেছে, পুনরায় সেনানিবাসের ওপর কোনো ধরনের হামলা বরদাশত করা হবে না। যারা এই হামলার পরিকল্পনাকারী তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার ইমরান খানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গন থেকে তুলে নিয়ে যায় আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স। পরে পুলিশ জানায়, আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করে ইমরান সমর্থকরা। কয়েকটি প্রদেশে বিক্ষোভকারীরা সেনানিবাসের ভেতরে ঢুকে হামলা চালায়।
হামলার দিনটিকে ‘কালো অধ্যায়’ হিসাবে স্মরণ করা হবে উল্লেখ করে সেনাবাহিনী বলেছে, ‘আমরা কাউকে আইন হাতে তুলে নিতে দেব না।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই দুর্বৃত্তরা তাদের ক্ষুদ্র স্বার্থ হাসিলের জন্য জাতির আবেগকে জাগিয়ে তোলে এবং অন্যদিকে, তারা সেনাবাহিনীর গুরুত্ব তুলে ধরে জনগণকে প্রতারিত করে। এটি ভন্ডামির একটি উদাহরণ। শত্রুরা ৭৫ ধরে যে কাজটি করতে পারেনি, রাজনৈতিক পোশাক পরা এই দল ক্ষমতার লালসায় সেই কাজটি করেছে। সেনাবাহিনী ধৈর্য ও সংযম দেখিয়েছে এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তার সুনামকে পাত্তা না দিয়ে চরম সহনশীলতা দেখিয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা ভাল করেই জানি, এর পিছনে কিছু অশুভ দলের নেতৃত্বের নির্দেশ ও পূর্ব পরিকল্পনা ছিল। বিক্ষোভের সাথে জড়িত সহায়তাকারী, পরিকল্পনাকারী এবং রাজনৈতিক কর্মীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সামরিক ও রাষ্ট্রীয় স্থাপনা এবং সম্পত্তি হ সেনাবাহিনীর উপর আর কোনো হামলা হলে এর জন্য কঠোর প্রতিশোধ নেওয়া হবে, যার দায়ভার সেই দলটির উপরই বর্তাবে যারা পাকিস্তানকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়।’