সংঘাতের মধ্যে সুদান থেকে আরও ৫১ বাংলাদেশি জেদ্দা হয়ে দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেদ্দা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তারা দেশে পৌঁছান।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব মাইগ্রেশনের (আইওম) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১টায় জেদ্দা থেকে ওই প্রবাসীরা রওনা দেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার ফ্লাইটে আরও ৫৪ জন সুদান থেকে দেশে আসার কথা রয়েছে।
সংঘাত কবলিত সুদানের পোর্ট সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে আরও ১৭৬ জন বুধবার বিশেষ ফ্লাইটে সৌদি আরবের জেদ্দা পৌঁছান। স্থানীয় সময় বিকাল ২টা ৪০ মিনিটে রওনা হয়ে সাড়ে ৩টার দিকে তারা জেদ্দায় পৌঁছান।
এর আগে বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সুদানে থাকা আরও ৫৫৫ বাংলাদেশিকে সেদেশের বিমান সংস্থা বাদার এয়ারলাইন্সের তিনটি ফ্লাইটে বুধ এবং আরেকটি ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার জেদ্দায় আনার কথা জানিয়েছিলেন।
গত ১৫ এপ্রিল থেকে সুদানে সশস্ত্র বাহিনী এসএএফ ও আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের মধ্যে লড়াই চলছে। এই সংঘাতে কয়েকশ মানুষ নিহত হয়েছেন। রাজধানী খার্তুম ও আশপাশের আবাসিক এলাকাগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে নাগরিক পরিষেবা।
সশস্ত্র সংঘাতের মধ্যে খার্তুমে দেড় হাজারের মতো বাংলাদেশির অবস্থান করার কথা জানায় সরকার। তাদের মধ্যে থেকে ৬৮২ জন গত ২ মে রাতে পোর্ট সুদানে পৌঁছান।
তিন সপ্তাহ সুদানে আটকে থাকার পর প্রথম দফায় গত ৮ মে জেদ্দা হয়ে ঢাকায় ফেরেন ১৩৬ জন বাংলাদেশি।
পোর্ট সুদান থেকে সৌদি বিমানবাহিনীর তিনটি ফ্লাইটে পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দায় আনা হয়েছিল তাদের। এরপর সেখান থেকে বিমান বাংলাদেশের নিয়মিত ফ্লাইটে তারা ঢাকায় আসেন।
চলমান পরিস্থিতি সামাল দিতে সুদানফেরত এসব প্রবাসীদের ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর সময় প্রবাসী কল্যাণ বোর্ড তাদের প্রত্যেকের হাতে তিন হাজার টাকা তুলে দিচ্ছে। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওম) থেকে দেওয়া হচ্ছে দুই হাজার টাকা ও খাদ্য সহায়তা।