২০২২ সালে বিশ্বে সাত কোটি ১১ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এই সংখ্যা এর আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। অভ্যন্তরীণ স্থানচ্যুতি মনিটরিং সেন্টার (আইডিএমসি) এবং নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল (এনআরসি) তাদের নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, গত বছর ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যার কারণে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। বাস্তুচ্যুতির এই সংখ্যা সর্বকালের রেকর্ডকে ভঙ্গ করেছে।
আইডিএমসি প্রধান আলেকজান্দ্রা বিলাক এএফপিকে বলেছেন এই সংখ্যাটি ‘অনেক বেশি’।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বেশির ভাগ বৃদ্ধি ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে হয়েছে, তবে পাকিস্তানের বন্যা, বিশ্বজুড়ে নতুন এবং চলমান সংঘাতের কারণে এবং অনেকগুলি আকস্মিক ও ধীরে ধীরে শুরু হওয়া বিপর্যয়ের কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’
গত বছর সংঘাতের কারণে নতুন অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত বেড়েছে দুই কোটি ৮৩ লাখ, যা এক বছর আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ এবং গত এক দশকের বার্ষিক গড় থেকে তিনগুণ বেশি।
গত বছর ইউক্রেনের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত হয়েছে এক কোটি ৭০ লাখ মানুষ। পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যার কারণে ৮০ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে বাধ্য হয়েছিল। আফ্রিকার সবা-সাহারা অঞ্চলের প্রায় এক কোটি ৬৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যাদের অর্ধেকেরও বেশি সংঘাতের কারণে, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো এবং ইথিওপিয়াতে।
বৈশ্বিক অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা চলতি বছর বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি সুদানে সহিংসতা এর একটি বড় কারণ। ইতিমধ্যে দেশটির সাত লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।