একাধারে তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সংসদ সদস্য, একটি ব্যবাসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ক্রিকেট সংগঠক। কিন্তু সব ছাপিয়ে তিনি দেশব্যাপি পরিচিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট হিসেবে। বলছি নাজমুল হাসান পাপনের কথা।
ক্রিকেট মাঠে সাকিব-তামিমদের সাফল্য আসুক বা না আসুক, হার অথবা জিত, ক্যামেরার ফোকাস খুঁজে নেয় পাপনকে। গণমাধ্যমে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতেও ভুলেন না। বাংলাদেশের খেলা যেখানেই থাকুক না কেন, তার উপস্থিতি নিশ্চিত। এত কিছু সামলান কিভাবে?
ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) বার্ষিক সাধারণ সভা ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেব বক্তব্য দিতে গিয়ে পাপন জানান ক্রিকেট তার সব সময় নিয়ে নিচ্ছে। তবুও এ সময় কোয়াবের নেতৃবৃন্দকে বেশি বেশি সময় দেওয়ার আহ্বান করেন বিসিবি সভাপতি।
পাপন বলেন, ‘এই সব জায়গাতেও (কোয়াবকে উদ্দেশ্য করে) কিন্তু অনেক সময় দিতে হয়। এইসব সংগঠনে সময় না দেওয়া হলে চালানো কঠিন। সো আমি বলবো যারাই আছেন সময় দেওয়া আরও বাড়াতে হবে।’
এ সময় নিজের প্রসঙ্গ টেনে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমি অনেকগুলো জিনিসের সঙ্গে জড়িত, আপনারা জানেন। ক্রিকেটই কিন্তু আমার সব সময় নিয়ে নিচ্ছে। এত সময় দেওয়া কিন্তু কঠিন। সকলেই এখন অভিযোগ করা শুরু করেছে, আমার পরিবার থেকে একটা ধৈর্য্যের সীমা আছে! তারা তো এখন কথাই বলে না বলতে গেলে। পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে আমার কথা জিজ্ঞাসা করলে আমার স্ত্রী সরাসরি বলে দেয় আমি জানিনা। এই হলো অবস্থা আমার।’
শের-ই-বাংলায় কোয়াবের এজিএম ও কাউন্সিলে বিসিবি সভাপতিকে সম্মাননা দেওয়া হয়। সংগঠনটির ফের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন দেবব্রত পাল।