আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনগণ যত দিন চাইবে তত দিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে বলেও জানান সরকারপ্রধান।
বুধবার (২৪ মে) সকালে কাতার ইকোনমিক ফোরামের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন হলো জনগণের অধিকার। আমরা কী (উন্নয়ন) করেছি তারা তা দেখেছে। তারা যদি আমাকে ভোট দেয় তাহলে আমি আছি, আর যদি না দেয় তবে ঠিক আছে আমি থাকব না। আমাদের সময় অনেকগুলো উপনির্বাচন, স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কে সেখানে সমস্যা তৈরি করেছে? আমরা তো করিনি। কিন্তু সব নির্বাচনেই তো কিছু ঘটনা ঘটে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতদিন আমার দেশের জনগণ চাইবে। কারণ আমি দেশের মানুষের জন্যই কাজ করছি। আমার বাবার স্বপ্ন ছিল, এ দেশের মানুষকে একটি উন্নত জীবন দেয়া। এটি আমারও লক্ষ্য। আমার দেশের জনগণ ক্ষুধায় কষ্ট পাবে না, অপুষ্টিতে ভুগবে না, শিক্ষা, বাসস্থান কিংবা চিকিৎসার মতো মৌলিক চাহিদার অভাবে ভুগবে না। এই বিষয়গুলোই আমি নিশ্চিত করতে চাই। আমরা বিগত সাড়ে ১৪ বছরে এরই মধ্যে এর অনেকটাই করতে পেরেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষই ঠিক করবে কারা দেশ পরিচালনা করবে। এবং আমি এই অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। এটি জনগণেরই ক্ষমতা, আমি তাদের ক্ষমতা তাদের কাছেই রাখতে চাই। আমি ক্ষমতা দখল করে রাখতে চাই না বরং আমি দেশের জনগণকেই ক্ষমতায়িত করতে চাই, যাতে তারা তাদের অধিকার চর্চা করতে পারে। সুতরাং আমাদের সরকারের অধীনে নির্বাচন অবশ্যই মুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
বিগত সরকারগুলোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের জনগণের জন্য দিনে এক বেলা খাবার খাওয়াও বেশ কঠিন ছিল। এটা ছিল তাদের আমলের পরিস্থিতি। আমার দল ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমাদের জনগণের জন্য সবকিছু নিশ্চিত করেছি। এ কারণে এখন নির্বাচনের বিষয়টা জনগণের অধিকার। আমরা কী করেছি, তা জনগণ বোঝে। তারা ভোট দিলে আছি, না দিলে ঠিক আছে।
যেসব দেশ আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে তাদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালে সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৬ সালে আমাদের দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০২২ সালে সেটিকে আমরা ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। আশা করি, আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে কোনো চরম দারিদ্র্য থাকবে না।
সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ, কারও সাথে বৈরিতা নয়- এটা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, রাশিয়া থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি পাওয়া গেলে সেটা বাংলাদেশের কিনতে কোনও আপত্তি নেই।
সম্প্রতি আইএমএফের কাছ থেকে মোটা অংকের ঋণ নেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা আছে বলেই তারা আমাদের ঋণ দিয়েছে।