তাপমাত্রা, সমুদ্রের তাপ এবং অ্যান্টার্কটিকায় বরফ গলার রেকর্ড বিজ্ঞানীদের শঙ্কিত করে তুলেছে। তাদের ভাষ্য, এগুলো বাড়ার গতি ও সময় নজিরবিহীন।
জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে এই ঘটনাগুলিলোকে তাৎক্ষণিকভাবে যুক্ত করা কঠিন। কারণ আবহাওয়া ও মহাসাগরগুলি অনেক জটিল। বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চলছে। তবে বিজ্ঞানীরা ভয় পাচ্ছেন , খারাপ কোনো পরিস্থিতি হয়তো ঘটতে যাচ্ছে।
লন্ডন স্কুল অব ইকনোমিক্সের পরিবেশগত ভূগোলবিদ থমাস স্মিথ বলেছেন, ‘জলবায়ু ব্যবস্থার সব অংশ কখন একই সময় রেকর্ড ব্রেকিং বা অঞ্চলগুলোতে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করে সেই বিষয়ে আমার জানা নেই।’
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের জলবায়ু বিজ্ঞানের প্রভাষক ডা. পাওলো সেপ্পি জানান, জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, সেইসাথে ২০১৮ সাল থেকে উষ্ণায়নকারী প্রাকৃতিক আবহাওয়া ব্যবস্থা – প্রথম এল নিনোর তাপের কারণে এখন ‘পৃথিবী অজানা অঞ্চলে রয়েছে।’
এই গ্রীষ্মে এখন পর্যন্ত জলবায়ুর চারটি রেকর্ড ভেঙেছে – রেকর্ডের উষ্ণতম দিন, বিশ্বব্যাপী রেকর্ডে সবচেয়ে উষ্ণতম জুন, চরম সামুদ্রিক তাপপ্রবাহ, অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফ সর্বনিম্ন পর্যায়ে।
ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে ডা. ক্যারোলিন হোমস বলেন, ‘আপনি বলতে পারেন যে, আমরা একটি পাহাড় থেকে পড়ে গেছি, কিন্তু আমরা জানি না এখানে পাহাড়ের নীচে কী আছে। আমি মনে করি এটি যে গতিতে ঘটেছে তা আমাদের অবাক করে দিয়েছে। এটি অবশ্যই সেরা পরিস্থিতি নয় যা আমরা দেখছিলাম – এটি সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির কাছাকাছি।’