জাহানারা বুলা।
যে হাসিটি জনশ্রুতি হয়ে রয়ে যাবে তা আমার।
তুমিও আমার।
সব ছেড়ে ছুড়ে কি করে চলে যাই তবে?
অথচ, বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর আহবান!
মৃত্যু এত বিষণ্ণ কেন হয়?
অস্তাচলগামী জীবনে বিষণ্ণতা কেন মুখ বাড়িয়ে দেয়?
অনিবার্য একাকিত্বের আত্মীয়তায় বিমর্ষ হয় হৃদয়,
লিখিয়ে নেয় ভুল ভ্রান্তির অবান্তর কথকতা,
লিখিয়ে নেয় ভালো না বাসার ছারপত্র!
বাস্তবিক, বিস্তর প্রেমে ডুবে থাকি আমি সীমাহীন
নিরবতায়।
এতটা নির্জনতাও বহন করা যায় না-
এলোমেলো ভাবনার গুঞ্জরণ আকাঙ্ক্ষার বীজ বুনে
রক্ত কোষে,
নষ্ট প্রেম হাত ছানি দিয়ে ডাকে,
অথচ, দূরত্বেই জীবন।
হৃদয়ের তক্তপোষ ছেড়ে সম্বিতে আসন করি যখন,
অনন্ত মহামারী নৃত্য করে দু’চোখের তারায়।
বিবশ মন ভাবনার পরিপন্থী হয় আবার-
ভাবি না হলুদ সর্ষে ফুলেরা বিস্তীর্ণ মাঠের কোলে কি
করে বাতাস ছুঁয়ে দেয়,
ভাবি না কুমার নদের মসৃন ঢেউয়ের উপর সূর্যের
গ’লে পড়া সোনালী রঙের কথা,
ভাবি না আকাশের পরিপুষ্ট সাদা মেঘ বিলীন হয়ে যায়
কোন সুদূরের কাছে,
শরতের দোলায়িত কাশ বনে যুবতীর ফেলে আসা
ওড়নার কথাও ভাবিনা।
শুধু বিমর্ষ মৃত্যু ধেয়ে আসার ভাবনা আমাকে উদ্বিগ্ন করে!
২৯ মার্চ, ২০২০ ঢাকা।