ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে বিশ্বের ১৬০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির বিবৃতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার অপপ্রয়াস বলে মনে করছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজউদ্দীন ফকির ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুন নূর দুলালের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েকজন নোবেল বিজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তারা বাংলাদেশের শ্রম আইনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের এই চিঠি অসত্য তথ্যনির্ভর। তারা প্রকৃত সত্য জানলে এই চিঠি দিতেন না।
‘এই চিঠি দেওয়ার মধ্য দিয়ে তারা একদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ করছেন। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন। অন্যদিকে গরীব শ্রমিকের স্বার্থের বিরুদ্ধে তারা অবস্থান গ্রহণ করেছেন। দায়িত্ববান বিশ্ব নেতাদের কাছে এটি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অনভিপ্রেত।’
তারা বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণ্ন, ট্যাক্স ফাঁকি এবং অন্য যেসব বিচারিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে তা আইন এবং ন্যায়বিচারের দাবি করছি। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মনে করছে, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের মধ্য দিয়েই এ বিচারকার্য চলছে। বিচার কার্যক্রমের কোনো পর্যায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যদি সংক্ষুব্ধ হন, তাহলে তার আইনি প্রতিকার বাংলাদেশের প্রচলিত আইনেই রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শ্রম আইনের মামলা সরকার দায়ের করেনি, তা অধিকার বঞ্চিত শ্রমিকরাই তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য দায়ের করেছেন। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। বিচারকরা স্বাধীন এবং নিরপেক্ষভাবেই তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
‘বাংলাদেশের সংবিধান একটি মানবিক দলিল। এই সংবিধান অনুযায়ী কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং সবাই আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। শ্রমিকরাও আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। ড. মুহাম্মদ ইউনূস আইনের ঊর্ধ্বে নন।’