তুরস্ক, গ্রিস ও বুলগেরিয়ায় প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। প্রবল পানির তোড়ে ব্রিজ ভেসে যাওয়া এবং রাস্তা, বাড়িঘর এবং সরকারি ভবন প্লাবিত হওয়ায় কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গ্রিসের জলবায়ু সংকট এবং নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রী ভ্যাসিলিস কিকিলিয়াস মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকের পরে বলেছেন, ‘দেশে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে ২৪ ঘন্টা সময়ের মধ্যে সর্বাধিক পরিমাণে বৃষ্টিপাতের ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে বড় ঘটনা।’
বুলগেরিয়ার সীমান্তবর্তী উত্তর-পশ্চিম কারক্লারেলি প্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তুরস্কের অবকাশযাপন কেন্দ্রে তীব্র পানির স্রোতে ছয় জন ভেসে গেছে।মঙ্গলবার রাতে দুটি এবং বুধবার সকালে আরও দুই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যার আঘাতের সময় বেশ কয়েকটি বাংলো ভেসে যাওয়ার সময় এক ডজনেরও বেশি পর্যটক ছিলেন। নিখোঁজ দুই পর্যটকের সন্ধান এখনও চলছে।
তুর্কি টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, উদ্ধারকারীরা একটি অল্পবয়সী মেয়ে এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ককে পানি থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিছু এলাকায় কোমর পর্যন্ত পানি পৌঁছেছে। বৃষ্টির কারণে একটি প্রধান সড়কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বন্ধ হয়ে গেছে। ইস্তাম্বুলে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকটি ভূগর্ভস্থ স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং লাইব্রেরির ভিতরে আটকে থাকা প্রায় এক ডজন লোককে উদ্ধার করা হয়েছে।
পূর্ব গ্রিসের উপকূলীয় শহর ভোলোসে প্রাচীর ধসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার নিকটবর্তী পেলিওন এলাকায় ৮৭ বছর বয়সী এক নারীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সেখানে আরও চারজন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পিলিয়ন পর্বতমালার আশেপাশের অন্তত ছয়টি গ্রাম ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
বুলগেরিয়ার দক্ষিণ কৃষ্ণ সাগর উপকূলে বুধবার সমুদ্র থেকে নিখোঁজ এক পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে দেশটিতে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিন জনে পৌঁছেছে।