ভারতে আরও একটি বিষাক্ত কাশির সিরাপ ও অ্যান্টি-অ্যালার্জি সিরাপ শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে বিশ্বব্যাপী ১৪১ শিশুর মৃত্যুর খবর প্রকাশের কয়েক মাস পরে নতুন করে দুটি সিরাপ শনাক্ত হলো। বুধবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ওষুধগুলোতে ডাইথাইলিন গ্লাইকোল কিংবা ইথিলিন গ্লাইকোলের মতো উপাদান পাওয়া গেছে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে গাম্বিয়া, উজবেকিস্তান এবং ক্যামেরুনে যেসব সিরাপ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তাতে এই উপাদান ছিল।
অন্তত দুই বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন তাদের মাসিক প্রতিবেদনে কোনো ডাইথাইলিন গ্লাইকোল কিংবা ইথিলিন গ্লাইকোল দূষণকে চিহ্নিত করেছে। কারণ ভারত তার চার হাজার ২০০ কোটি ডলারের ওষুধ শিল্পের ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর আধিপত্য দমন করার চেষ্টা করছে।
গুজরাট রাজ্যের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ কন্ট্রোল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কমিশনার ডা. এইচজি কোশিয়া বুধবার রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তারা গত মাসে ওষুধ দুটির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নরিসের কারখানা পরিদর্শন করেছেন এবং উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কোম্পানিটি ভাল উৎপাদন নির্দেশিকা মানতে অত্যন্ত বাজেভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এর কারখানায় পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা ছিল না। এয়ার-হ্যান্ডলিং ইউনিটটির চিহ্ন পর্যন্ত ছিল না। জনস্বাস্থ্যের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা ইউনিটটিকে উৎপাদন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলাম।’