ভারতের ভোজপুরি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি এবং টিভি জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি। ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও প্রায়ই চর্চায় থাকেন তিনি।
১৯৯৮ সালে ভোজপুরী অভিনেতা রাজা চৌধুরীকে বিয়ে করেছিলেন শ্বেতা। পরে রাজার বিরুদ্ধে আদালতে নির্যাতনের মামলা করেছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে রাজার সঙ্গে শ্বেতার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। রাজা-শ্বেতার মেয়ে পলক।
রাজা চৌধুরীর সঙ্গে দীর্ঘ দাম্পত্য সম্পর্ক ইতি টানার পর ২০১৩ সালে অভিনেতা অভিনব কোহালিকে বিয়ে করেন শ্বেতা। ২০১৬ সালে তাদের ঘর আলো করে আসে পুত্র রেয়ানশ। তবে অভিনবের বিরুদ্ধে মেয়ে পলকের দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকানো ও মারধরের অভিযোগে ২০০৯ সালে আদালতে মামলা করেন শ্বেতা। ওই বছরেই অভিনবের সঙ্গে শ্বেতার বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
তবে অভিনবের সঙ্গে শ্বেতার ঝামেলা এখনো মিটেনি। ছেলে রেয়ানশকে ঘিরে দুজনের মধ্যে এখনো লড়াই চলছে। ছেলের সঙ্গে দেখা না করতে দেওয়ার অভিযোগ এনে এবার অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন তার সাবেক স্বামী অভিনব।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে হয়েছে, শ্বেতার বিরুদ্ধে গত ৮ মাস ধরে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়ার অভিযোগ এনে বম্বে হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন অভিনব।
এ ব্যাপারে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সাবেক স্ত্রী শ্বেতা তিওয়ারির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন অভিনব। তার দাবি, শ্বেতা তাকে মিথ্যে অপবাদ দিয়েছেন। তাকে ফাঁসিয়েছেন।
অভিনব কোহলি জানান, তিনি এবং শ্বেতা একই কমপ্লেক্সে থাকেন, তবে তাদের ফ্ল্যাট ভিন্ন টাওয়ারে। তার অভিযোগ, গত ৮ মাস ধরে নিজের সন্তানের সঙ্গে তিনি দেখা করতে পারছেন না। ছেলে রেয়ানশের সঙ্গে তার সর্বশেষ দেখা হয়েছিল জানুয়ারি মাসে। সেদিনের কথা মনে করে অভিনব বলেন, তিনি রেয়ানশের সঙ্গে বাসার ছাদে সময় কাটাচ্ছিলেন। হঠাৎ শ্বেতার সহকারী রেয়ানশকে জোর করে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি বাধা দিতে গেলে পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়। অভিনবের কথায়, শ্বেতা সেদিন মুম্বাইতে ছিলেন না, এই ঘটনার পর ছেলের সঙ্গে তার দেখা করা বন্ধ করে দেন অভিনেত্রী।
অভিনবের দাবি, শ্বেতা কিছু ভুয়া কাউন্সিলরের রিপোর্ট দেখিয়ে দাবি করেছেন রেয়ানশের তাকে ভয় পায়। অথচ এটার কোনো সত্যতা নেই। গত ৮ মাসে রেয়ানশ তার সঙ্গে অপ্রত্যাশিতভাবে চার বার দেখা করেছে, কোনোবারেই সে তাকে ভয় পায়নি। অভিনবের দাবি, শ্বেতা ছেলেকে তার থেকে দূরে রাখার জন্যই এমনটা করছেন। রেয়ানশের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার অনুমতিও শ্বেতা দেননা বলে জানিয়েছেন অভিনব।
অভিনব আরো জানান, ২০২০ সালে ছেলেকে হেফাজতে নিতে হাইকোর্টে মামলা করেন শ্বেতা। সন্তানের বয়স তখন মাত্র ৫ বছর হওয়ায় তার হেফাজত পান শ্বেতা। তবে ছেলের সঙ্গে সপ্তাহে একবার দেখা ও ভিডিও কলে কথা বলার অনুমতি আদালত দিয়েছিল, তবে শ্বেতা সেগুলো সবই বন্ধ করে দিয়েছেন।
অভিনবের আরও দাবি, ‘আমি শ্বেতাকে প্রায় ১০০টা ইমেইল করেছি, ছেলের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে। তবে শ্বেতা কোনোভাবেই দেখা করতে দেয়নি। আমি ছেলেকে দেখতে শ্বেতার পায়ে পড়তেও রাজি, তবে শ্বেতা কোনোভাবেই রাজি নয়।’