আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আসার কোনও আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী ডায়ানা জানসের সঙ্গে বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
পশ্চিমা দেশগুলো থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আসার ‘গুঞ্জন’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি অনুরোধ করব আপনারা (সাংবাদিক) আপনাদের মেধা দিয়ে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে, সেই সঙ্গে বিদেশি; তা যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়ন হতে পারে, সেসব রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে কাজগুলো করবেন। আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, সামনে জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা তো অনেক দূরের কথা, আর কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার শঙ্কা কিংবা বাস্তবতা বা কোনও প্রেক্ষাপট নেই।
সকালে বিএনপির সঙ্গে ঢাকায় সফররত মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের বৈঠক হয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধিদলটিকে বিএনপি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, এই সরকারের অধীন তারা নির্বাচনে আসবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোন সত্ত্বেও তারা নির্বাচনে আসেনি। না এসে তার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সেসময় নিউ ইয়র্ক টাইমসে এ বিষয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদনও হয়েছে। আমি বিষয়টি ডায়ানা জানসকে জানিয়েছি। বাংলাদেশের নির্বাচন এদেশের সংবিধান অনুসারে হবে। কেউ তা বানচালের চেষ্টা করলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডায়ানা জানসের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে তা জানাতে গিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সে সম্পর্কে ডিয়ানা জেনস জানতে চেয়েছেন। আমি তাকে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগের দুই বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন ছিল, সেই সময়ের প্রেক্ষাপট; ২০০৮ সালের অভিজ্ঞতা, ২০১৪ সালে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বয়কট ও বানচালের অপচেষ্টার ঘটনাপ্রবাহ, জ্বালাও-পোড়াও, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস, ২০১৮ সালে সেই রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে এলেও নেতৃত্বের সংকটের কারণে তারা সেই নির্বাচনে পুরো সময় থাকেনি। এ ছাড়াও, তাদের অপচেষ্টা এখনো যে অব্যাহত আছে, সেগুলো জানিয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণে আমাদের চেষ্টার কথাও জানিয়েছি।