গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ বন্ধের দাবি জানিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে শুরু করে আফ্রিকার তিউনিসিয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ হয়েছে। শুক্রবার এসব দেশের হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় হামলা চালায়। ইসরায়েলের ব্যাপক হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত চার হাজার ১০০ জন নিহত হয়েছে। ইতিমধ্যে উপত্যকায় স্থল যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তেল আবিব। ইসরায়েলের পক্ষে অনেক পশ্চিমা দেশ নিজেদের অবস্থান ঘোষণা দিয়েছে।
জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ছয় হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী রাজধানীর কেন্দ্রে মিছিল করেছে। আরও হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে সমাবেশ করেছে। বিক্ষোভকারীরা হামাসের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে এবং রকেট হামলা এবং আত্মঘাতী বোমা হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলকে আক্রমণ করার আহ্বান জানিয়েছে।
হাজার হাজার বিক্ষোভকারী তুরস্ক ও মিশরের জড়ো হয়েছিল। ইস্তাম্বুলের বেয়াজিত মসজিদের সামনে প্রায় দুই হাজার লোক জড়ো হয়েছিল। এসময় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো এবং ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলন করা হয়। কারো কারো হাতে প্ল্যাকার্ড লেখা ছিল: ‘গণহত্যা বন্ধ করুন’ এবং ‘সন্ত্রাসী ইসরায়েল।’
মিশরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বিশ্বের প্রাচীনতম আল-আজহার মসজিদে দাঁড়িয়ে ‘আরব সেনাবাহিনী কোথায়?’ স্লোগান দিয়েছে। অন্যরা কেন্দ্রীয় তাহরির স্কোয়ারে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছে। কেউ কেউ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের দাবি করেছেন। অন্যরা বলেছেন গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করার জন্য আরব রাষ্ট্রগুলোর অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করা উচিত।
তিউনিসিয়ার মধ্যাঞ্চলে শত শত মানুষ মিছিল করেছে। আরেক দল বিক্ষোভকারী মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে।
সোহেল বেন নাসের নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আসল সন্ত্রাসী হচ্ছে ইসরাইল ও আমেরিকা, যারা একে সমর্থন করে।’
ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার রাজধানীতে মার্কিন দূতাবাসের কাছে বিক্ষোভ করতে জড়ো হয়েছিল কয়েক হাজার মানুষ। তারা ইসরায়েলি পতাকা পুড়িয়েছে।
ভারতের মুসলমানরা জয়পুর ও মুম্বাইতে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে ছোট বিক্ষোভ করেছে।