ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের বিস্তৃত সংঘাতের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে আরও সেনা ও সমরাস্ত্র পাঠানোর ফলে এই ঝুঁকি আরও বাড়ছে। ইতিমধ্যে ইসরায়েল লেবানন ও সিরিয়ায় হামাস সমর্থকদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে শুরু করেছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন ইসরায়েলের সমর্থনে মধ্যপ্রাচ্যে আরও সামরিক সম্পদ পাঠাবে এবং এই অঞ্চলে মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করবে। তার দাবি, ‘ইরান এবং তার সমর্থিত বাহিনীর সাম্প্রতিক বৃদ্ধি’-এর জন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, একটি টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) সিস্টেম এবং অতিরিক্ত প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম ব্যাটালিয়ন এই অঞ্চলে পাঠানো হবে। এর পাশাপাশি আরও সেনাকে প্রস্তুত রাখা হবে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ওয়াশিংটন মধ্যপ্রাচ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নৌ শক্তি মোতায়েন করেছে। এর মধ্যে দুটি বিমানবাহী রণতরী, তাদের সহায়তাকারী জাহাজ এবং প্রায় দুই হাজার নৌসেনা রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনা ও অস্ত্রের উপস্থিতি বৃদ্ধির সাথে সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোতে হামলাও শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে ইরাকে মার্কিন বাহিনীর দুটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন ও রকেট হামলা চালানো হয়েছে। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন করার জন্য ওয়াশিংটনকে হস্তক্ষেপ করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করার পরে ধারাবাহিক হামলার সর্বশেষ ঘটনা ছিল এটি।