সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল। ব্যক্তিগত জীবনে অভিনেত্রী-নির্মাতা তানিয়া আহমেদের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন। কিন্তু দুই দশক সংসার করার পরও ছন্দপতন ঘটে দাম্পত্য জীবনে। দীর্ঘ ৪-৫ বছর আলাদা থাকার পর বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাদের।
গত বছর জুলাইয়ের শেষের দিকে হঠাৎ প্রকাশ্যে আসে টুটুল-তানিয়ার বিয়েবিচ্ছেদের খবর। শুধু তাই নয়, টুটুল যুক্তরাষ্ট্রে ফের বিয়ে করেছেন বলেও জানা যায়। বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়ে কয়েক দফা কথা বলেছেন তানিয়া। তবে সেভাবে কথা বলেননি টুটুল। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন এই গায়ক।
বিচ্ছেদের কারণ জানতে চাইলে টুটুল একটি গণমাধ্যমে বলেন, ‘এটা সত্যি যে তানিয়ার সঙ্গে আমি কখনো বিবাহবিচ্ছেদটা চাইনি। আমার নিজের উদ্যোগেও বিচ্ছেদ করিনি বরং তানিয়াই বারবার বিচ্ছেদ চেয়েছিল। কেন চেয়েছিল, সত্যটা সে নিজেই সবচেয়ে ভালো বলতে পারবে। সে তো বলেছে সে সত্যটা বলে দেওয়াই পছন্দ করে, তাই এই বিষয়টা তার কাছে জানতে চাইলে ভালো হবে।’
বিচ্ছেদের জন্য তানিয়াকেই দায়ী করেন টুটুল। তার ভাষায়— ‘তানিয়াই আমাকে বলেছিল, সে স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে চায়, সংসারের কোনো বাধ্যবাধকতা সে আর একেবারেই চায় না। সে বলেছিল, যখন যেখানে খুশি বেরিয়ে যাবে। কোথায় যাচ্ছে, কখন ফিরবে— এসব কোনো কিছুই আমি জানতেও চাইতে পারব না ইত্যাদি। একসময় সে চলাফেরাও শুরু করেছিল সে রকমভাবেই। এ ছাড়া আমার সঙ্গে তার ব্যবহার-আচার এবং অনেক কিছুই, যা আমি মেনে নিতে পারিনি। তাই বিচ্ছেদে আমিও একসময় রাজি হয়ে যাই।’
দ্বিতীয় বিয়ের কথা অস্বীকার করে টুটুল বলেন, ‘তানিয়ার সঙ্গে আমার বিবাহবিচ্ছেদের যখন এক বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেছে, সেই সময়ে আমি একজন সিঙ্গেল মানুষ হিসেবে জীবন কাটাচ্ছিলাম। তখন একটা অনুষ্ঠানের কাজে নিউ ইয়র্কে আসি। সেখানে একজনের সঙ্গে দেখা হয়, পরে সখ্য হয়, একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমাদের বিয়ের কথাও হয়েছিল। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা হয়তো হুকুম হয়নি তা–ই, কখনো কোনোভাবেই আমাদের বিয়ে হয়নি। আমাদের সম্পর্কটা পরিচয়, সখ্য বা প্রেম পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল।’
১৯৯৯ সালের ১৯ জুলাই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল ও অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ। এ সংসারে তাদের দুই সন্তান রয়েছে।